আর জি করের ন্যক্কারজনক ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। চোখের পাতা এক করতে পারছেন না শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষরা। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন আম জনতা থেকে তারকা। দু-সপ্তাহ কেটেছে এখনও সুবিচারের আশায় দেশবাসী। আরজি করের ঘটনায় শুরু থেকেই সরব অরিজিৎ সিং। আরও পড়ুন-‘আমি অতটা শিক্ষিত নই…’, পথে নামার হুমকি পর অডিও বার্তা অরিজিতের, কী আর্জি রাখলেন গায়ক?
১৭ অগস্ট গায়ক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে জানান, ৭ দিনের মধ্যে কিছু না হলে রাস্তায় নামবেন তিনি। সেই সময় পার হওয়ার জোগাড়, @Atmojoarjalojo নামের এক্স হ্যান্ডেলটি যে অরিজিৎ-এর নিজস্ব অ্যাকাউন্ট তা এতদিনে সকলেই জেনে গেছেন। বৃহস্পতিবার এই হ্যান্ডেল থেকে একটি অডিও বার্তা শেয়ার করে গায়ক জানিয়েছিলেন, ‘এখন শুধু সেটআপ করছি…'। শুক্রবার ফের একের পর এক টুইট করলেন অরিজিৎ।
এলোমেলো সেই সব পোস্টে উঠে এল আশঙ্কার কথা। গায়ক জানালেন, ভয়ে-শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। তাঁর শিল্পীসত্ত্বা আহত, তাঁর সঙ্গীত থেমে গিয়েছে। তিনি লেখেন, ‘পুলিশকে ভয় পাচ্ছি, গুণ্ডাদের ভয় পাচ্ছি, প্রশাসনকে ভয় পাচ্ছি… এই ভয়টা আমার শিল্পী সত্ত্বাকে ডিস্টার্ব করছে। মিউজিক তৈরি করতে পারছি না, মনে হচ্ছে আমি আটকে রয়েছি’।
অরিজিৎ জানান, সকলেই বিচার চান তবুও সাহস জোগাড় করে কেউ বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে পারছে না। অরিজিৎ লেখেন, ‘বিশ্বাস করতে পারছি না, সব সময় অবিশ্বাস করতে মন চাইছে, আমার বিশ্বাসী মনটা অবিশ্বাসে ভরে দিলো ওরা, আমার মধ্যে একটা নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে’।
এদিন আরজি কর কাণ্ড নিয়েও একাধিক প্রশ্ন করেন অরিজিৎ। জানতে চান, ওই দিন ডিউটিতে বাকি দুই রেসিডেন্ট ডাক্তার কারা ছিলেন? কোথায় ছিলেন? আর জি করের চেস্ট ডিপার্টমেন্ট এবং অর্থোপেডিক বিভাগের দুই ট্রেনি চিকিৎসক নাকি বেপাত্তা, তারা কোথায়?
কোনও কোনও অনুরাগীরা অরিজিৎ-কে সিবিআই-র তদন্তে আস্থা রাখার কথা বলেন। কেউ জানতে অরিজিৎ কবে রাস্তায় নামছেন। জবাবে গায়ক বলেন, ‘আমি একটা রাস্তা খুঁজছি। পিচের রাস্তায় নামলে তো পলিটিক্স হবে বলে সবাই অপেক্ষায় বসে। লোক দেখিয়ে মিছিল বার করে হবেটা কী? জাস্টিস যার কাছ থেকে চাইছি সে গা ঝাড়া দিয়ে বসে আছে। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি শিক্ষক দিবসে, আমি রাস্তায় নামলে মার খাবো নয়…’।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের পাঁচদিন পরে ঘটনার তদন্তভার হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ততদিনে সব পালটে দেওয়া হয়েছে।