রশ্মিকা মন্দন্না সহ অনেক তারকাই ডিপফেকের শিকার হয়েছেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকারাও AI-এর অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক তারকাই এগিয়ে এসে কথা বলেছেন এই সমস্যা নিয়ে। সম্প্রতি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনও কথা বলেছেন AI নিয়ে। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন।
অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চন দুজনেই পুনের সিম্বিওসিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সিম্বিওসিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আরও পড়ুন: দিনে ৩ লিটার জলপান, ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে আর কী করেন তৃণা, ফাঁস করলেন বিউটি সিক্রেট
AI নিয়ে কী বলেছেন অমিতাভ বচ্চন
সিম্বলিক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। ফেস্টিভ্যাল চলাকালীন অমিতাভ বচ্চন বলেছেন, সিনেমা তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বড় পরিবর্তন এসেছে। মাত্র ২-৩ মাসের কথা উল্লেখ করে AI এর বিষয়ের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে অভিনেতা বলেছেন, AI আরও বড় উদ্বেগের বিষয়। ফেস ম্যাপিংয়ের শিকার হচ্ছেন সবাই। অভিনেতা জানিয়েছেন কীভাবে এআই-এর সাহায্যে সবার মুখ ও শরীর টেম্পার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির অপব্যবহার করে মানুষ স্বেচ্ছাচারিতা করছে বলেও তিনি মনে করেন।
বিগ বি, ফেস ম্যাপিংয়ের উদ্বেগজনক সমস্যাটিও হাইলাইট করেছেন। যেখানে ব্যক্তিদের তাদের মুখ পরিবর্তন করে বিভিন্ন উপায়ে ম্যানুপুলেট করা হচ্ছে। হলিউড অভিনেতা টম হ্যাঙ্কসের ফেস ম্যাপিংয়ের প্রযুক্তি প্রদর্শন করে মুম্বইয়ের একটি স্টুডিয়োর সাম্প্রতিক একটি বিষয় বর্ণনা করেছেন অমিতাভ বচ্চন। এক্সিবিশনে , টম হ্যাঙ্কসের একটি ক্লিপে তাঁকে ২০ বছর বয়সের দেখানো হয়েছে, অন্যটি সাম্প্রতিক কালের। অভিনেতা এই অনুশীলনে আপত্তি তুলে, উল্লেখ করেছেন যে হলিউডের শিল্পীরা ম্যাপিং প্রযুক্তির মাধ্যমে মুখ ব্যবহার করার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করেছেন।
অমিতাভ বচ্চন বলেছেন, তিনি AI এর মতো প্রযুক্তির সম্ভাব্য ক্ষতি নিয়ে চিন্তিত। এতে ইন্ডাস্ট্রির যেমন ক্ষতি, তেমনই আবার বিভিন্নভাবে অন্যান্য উপার্জনের পথে চাকরির ক্ষেত্রে ক্ষতি বা অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিগ বি।
একই সঙ্গে এ দিন দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রি নিয়েও কথা বলেছেন অমিতাভ। বিগ বির কথায়, ‘দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি যে বলিউডের থেকে তুলনামূলক ভালো সিনেমা বানাচ্ছে, একথা মানতে আমি মোটেই রাজি নই। এটা সত্যি যে, আঞ্চলিক ছবিগুলো ভালো হচ্ছে। তবে ওঁদের সঙ্গে কথা বলে আমি জানতে পেরেছি যে, আমরা হিন্দিতে যেসমস্ত সিনেমাগুলো তৈরি করি, দক্ষিণে সেগুলোকেই আরও বিনোদনের মোড়কে রংচঙে করে পরিবেশন করা হয়’।
অমিতাভের সংযোজন, ‘আমাকেই কতজন বলেছেন যে, ‘দিওয়ার’, ‘শক্তি’, ‘শোলে’র মতো আমার পুরনো সিনেমাগুলোর গল্প ওঁদের ছবিতে রিমেক করেছে। তবে কিছু মালয়ালম এবং তামিল ছবি আদতেই স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। তাই একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের দিকে আঙুল তুলে এটা কখনোই বলা উচিত নয় যে, ‘ওঁদের ছবি ভালো চলছে, আমাদেরটা চলছে না।’ এটা একদম ঠিক নয়’।