নতুন এক অভিজ্ঞতার শরিক হলেন আমেরিকান এয়ারলাইন্স ও ফিল স্ট্রিংগার নামক এক ভ্রমনকারী। ফিল স্ট্রিংগার গত রবিবার ওকলাহামা সিটি থেকে উত্তর ক্যারোলিনার শার্লটে তার বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের এখানেই শুরু বা আনন্দের। তিনি জানতে পারেন তাঁর ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময় থেকে ১৮ ঘন্টা দেরিতে উড়বে। সেই মুহুর্তে অন্যান্য যাত্রীরা অন্য ফ্লাইটে চড়ে বসেন, কিন্তু স্ট্রিংগার তা করেননি এবং শেষ পর্যন্ত যখন বিমানটি আকাশে ওড়ে, তিনিই ছিলেন একমাত্র যাত্রী। এই জন্যই খবরের শিরোনামে তিনি। বিমান সংস্থাকে ভরসা করার জন্য বিমান উঠেই পেয়েছেন রাজকীয় অভ্যর্থনাও। স্ট্রিংগার একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানে উঠে প্রাথমিক ভাবে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন। কারণ সেখানে আর কোনও যাত্রী ছিল না। জনৈক আমেরিকান তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিমানের গেটে যাই, এবং দেখি সেখানে কেউ নেই।’ 'আপনি কি সবাইকে বিমানে তুলেছেন?’ প্রশ্নের উত্তরে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বলেন, 'না, আপনিই এই বিমানের একমাত্র যাত্রী।’ এমন কথা শুনে খানিকটা হকচকিয়েই জান স্ট্রিংগার, কিন্তু বাকি পথে বিমানের ক্রু সদস্যদের সাথে দারুণ উপভোগ করেন। তিনি টিকটিক মাধ্যমে তাঁর এই অভিনব ভ্রমণ সম্পর্কে পোস্টও করেন। তিনি পোস্টে লিখেছেন, যেন বিমানের সবগুলি সিট তাঁরই কেনা, আর কোনও যাত্রীই সেখানে নেই। গোটা বিমানযাত্রায় বিমানের ক্রু সদস্যরা এবং স্ট্রিংগার, সকলেই দারুণ হাসি মজা করেন। বিমানে লাউড স্পিকারে বিভিন্ন বার্তাগুলির শেষে বলা হচ্ছিল, ‘.. ফিল, এই বার্তাটি কেবল আপনার জন্য।’ এ এক অভিনব আকাশ ভ্রমণই বটে। রাজা মন্ত্রীও এমন অভ্যর্থনা পাননা, যা পেলেন আমেরিকার সাধারণ এক নাগরিক। বিমানে চড়ার সময় তাকে সেরা মানের খাবার এবং পানীয় পরিষেবা দেওয়া হয়। এপ্রসঙ্গে স্ট্রিংগার বলেন ‘অবশ্যই এটি একটি দুঃখজনক দিন ছিল। কেউই ১৮ ঘন্টা বিমানবন্দরে বসে থাকতে চায় না, তবে বিমান কর্তৃপক্ষ যদি ভালো ব্যবহার করে, তবে এসব কিছুই অনেক মজায় পরিণত হয়।’ আমেরিকার এয়ার লাইন্সের বিমানটির একমাত্র যাত্রী গোটা পথ বিমানের সদস্যদের সাথে গল্প, হাসি ঠাট্টা করতে করতে আসেন। সত্যিই তো কেনই বা পাবেন না তিনি এই সম্মান? আজকের দ্রুতগতির দুনিয়ায় যখন মানুষ ব্যস্ত সময়ের আগে চলার জন্য, সেই দিনকালে ১৮ ঘন্টা দেরিতে ওড়া বিমানে চড়ার জন্য অপেক্ষা ক’জনই বা করতে পারেন!