বিগত কয়েক বছর ধরে, বলিউড অভিনেতা আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুরকে দেখা গিয়েছে তাঁদের নতুন বাড়ির কাজ কেমন চলছে, তা দেখতে আসছেন। কখনো তাঁদের সঙ্গে থাকেন মা নীতু কাপুর, আবার কখনো সঙ্গে ছোট্ট মেয়ে রাহা। পালি হিলে তাদের নতুন বাংলোর কাজও প্রায় শেষের পথে।
রাজ কাপুরের বিখ্যাত কৃষ্ণ রাজ প্রপার্টির জায়গায় নির্মিত ছয়তলা বাংলোটি ৩ বছর ধরে নির্মাণাধীন। কিন্তু সম্প্রতি ২৫০ কোটি টাকার এই বাড়ির একটি ভিডিয়ো ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। এরপরই শোনা যাচ্ছে রণবীর ও আলিয়া তাঁদের মেয়েকে নিয়ে নতুন বাড়িতে উঠেছেন। আলিয়া এখন একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি শেয়ার করেছেন, আর তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা লঙ্ঘন নিয়ে কড়া হয়েছেন মহেশ-কন্যা।
আলিয়া ভাট তাঁর পোস্টে শেয়ার করেছেন, ‘আমি জানি যে মুম্বইয়ের মতো শহরে জায়গা খুব সীমাবদ্ধ। কখনো আপনার বাড়ির জানলা থেকে, সামনের বাড়ির ভিতর দেখা যায়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনি অন্যের গৃহস্থালির ব্যাপার ভিডিয়ো করবেন এবম তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেবেন। আমাদের বাড়ির একটি ভিডিয়ো, যা এখনো নির্মীয়মান, তা রেকর্ড করে একাধিক জায়গায় প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের অনুমতি না নিয়েই।’
‘এটি স্পষ্টতই গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং একটি গুরুতর সুরক্ষা সমস্যা। অনুমতি ছাড়া কারও ব্যক্তিগত স্পেসের ভিডিয়ো করা বা ছবি তোলা কখনো কনটেন্ট হতে পারে না, এটি নিয়ম লঙ্ঘন। এটি কখনোই স্বাভাবিক হতে পারে না।’, আরও লেখেন আলিয়া।
রাহার মা নিজের বক্তব্য এরপর লেখেন, ‘ভেবে দেখুন, আপনার বাড়ির ভিতরের ভিডিয়োগুলি আপনার অজান্তেই সর্বজনীনভাবে শেয়ার করা আপনি কি সহ্য করবেন? আমরা কেউই করতাম না। সুতরাং এখানে একটি বিনীত কিন্তু দৃঢ় অনুরোধ, যদি আপনি অনলাইনে এই জাতীয় জিনিস দেখতে পান, তবে দয়া করে এটি ফরোয়ার্ড করবেন না বা এটি আরও অনেককে শেয়ার করবেন না। এবং আমাদের মিডিয়ার বন্ধুদের বলছি যারা এই ছবি এবং ভিডিওগুলো প্রকাশ করেছেন: আমি আপনাদের অনুরোধ করছি অবিলম্বে এগুলো সরিয়ে ফেলুন। ধন্যবাদ।’
দেখা গেল বেশিরভাগই আলিয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন। একজন লেখেন, ‘হ্যাঁ, এই ভিডিওটি গোপনীয়তার সম্পূর্ণ আক্রমণ! ছবি-ভিডিয়ো যাতে না তোলা যায়, সে জন্য এখন কি তাঁদের জানলা-দরজা বন্ধ করে থাকতে হবে?’ আরেকজন লেখেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু আমি দেখছি না এর কোনো সমাধান আছে। পাপারাৎজিরা তাও শুনবে, কিন্তু সাধারণ মানুষ শুনবে না, এটাই সমস্যা।’
যদিও আবার একাংশের মত, আলিয়া-রণবীরই পাপারাৎজিদের বারবার খবর দেন, যখন তাঁরা তাঁদের নির্মীয়মান বাড়ির কাজ দেখভাল করতে আসেন। আর সেটা না করা হলেই, পাপারাজ্জিদের সাহস হত না, ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার।