কার্যত আধা শক্তির দল নিয়ে এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিলেও বিশ্বকাপে চূড়ান্ত ভরাডুবির মুখে পড়তে হয় শ্রীলঙ্কাকে। লিগ পর্বের ৯ ম্যাচে মাত্র ২টি জয় দিয়েই এবারের মতো বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করে দ্বীপরাষ্ট্র।
মাঠের লড়াইয়ে কোনও দল ভয়ানক বিপর্যয়ে পড়লে সচরাচর কৈফিয়ত তলব করতে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট দলের ক্রিকেট বোর্ডকে। তবে শ্রীলঙ্কের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের দোষেই দলের এমন ব্যর্থতা বলে দাবি করা হতে থাকে।
বোর্ডের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রক হস্তক্ষেপ করে বিষয়টিতে। ভারতের কাছে ৩০২ রানের হারের পরে ওদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী ক্রিকেট বোর্ডের সব কর্তাদের একযোগে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেন। অর্থাৎ, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডকেই ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ জারি করা হয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে।
রণতুঙ্গার নেতৃত্বে একটি অস্থায়ী কমিটির হাতে ক্রিকেট বোর্ডের কাজকর্ম পরিচালনার দায়িত্বও তুলে দেওয়া হয় প্রাথমিকভাবে। তবে আদালতের নির্দেশে শেষমেশ বহিষ্কৃত বোর্ড কর্তারা দায়িত্বে পুনর্বহাল হন।
আরও পড়ুন:- PAK vs ENG: দিবাস্বপ্ন দেখছেন বলে কটাক্ষ করতে রাজি নন, বরং বাবর যথার্থ ক্যাপ্টেনের মতোই কাজ করেছেন বলে দাবি গম্ভীরের
এমন ডামাডোল পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের উপর নেমে আসে আইসিসির নির্বাসনের খাড়া। শুক্রবার আইসিসি শ্রীলঙ্কার সদস্যপদই খারিজ করে দেয়। আইসিসির সদস্য হওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ভেঙেছে শ্রীলঙ্কা। সেই কারণেই আইসিসির শাস্তির কবলে পড়তে হয় তাদের।
আসলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা কোনও দেশের ক্রিকেট বোর্ডের স্বায়ত্বশাসন নিয়ে আপোষ করে না। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনায় অথবা কাজকর্মে সরকারি হস্তক্ষেপ একেবারেই বরদাস্ত করে না তারা। তাই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ দেখেই অতি সত্ত্বর ওদেশের সদস্যপদ বাতিল করে আইসিসি।
আরও পড়ুন:- বিশ্বের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে বিরল 'হাফ-সেঞ্চুরি' বোল্টের, নিউজিল্যান্ডের আর কারও এই নজির নেই
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে নির্বাসিত করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এও জানানো হয় যে, নির্বাসন সংক্রান্ত শর্তাবলী নিয়ে তাড়াতাড়িই সিদ্ধান্ত নেবে তারা।