শুধু জিতলেই চলবে না, বরং সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিতে হবে বাবর আজমদের। এবছর জোস বাটলারদের পারফর্ম্যান্স যতই খারাপ হোক না কেন, গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে এমন অভাবনীয় ব্যবধানে ম্যাচ জেতা পাকিস্তানের পক্ষে কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কাজটা যে মোটেও সহজ নয়, সেটা বোঝা পাকিস্তান শিবিরও। তা সত্ত্বেও শুক্রবার প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে বাবর আজম আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান যে, ইংল্যান্ডকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া অসম্ভব নয় তাঁদের পক্ষে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাবর এমন প্রত্যয় দেখানোর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শুরু হয়ে যায় পাকিস্তানকে নিয়ে। বাবর দিবাস্বপ্ন দেখছেন বলেও মন্তব্য করা হতে থাকে। তবে গৌতম গম্ভীর দাবি করেন যে, বাবর যথার্থ ক্যাপ্টেনের মতোই কাজ করেছেন। সাংবাদিক সম্মলনে বাবর একটা শব্দও ভুল বলেননি বলে মন্তব্য করেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা।
যদিও গম্ভীর এমনটা কখনই বলছেন না যে, পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার বিস্তর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনিও জানেন কাজটা কার্যত অসম্ভব। এক্ষেত্রে নেতা হিসেবে বাবর নিজের দায়িত্ব যথাযথ পালন করেছেন বলে জানান গৌতম।
শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আফগানিস্তান ম্যাচের ইনিংসের বিরতিতে স্টুডিয়োর আলোচনায় গম্ভীর বাবরের সাংবাদিক সম্মেলন প্রসঙ্গে বলেন, ‘একজন নেতার কাছ থেকে আপনি কী আশা করবেন? সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ও কী বলবে যে, আমরা হার মেনে নিয়েছি? আমরা দেশে ফিরতে চাই। ও একটা দেশের ক্যাপ্টেন। ওর অধিকার রয়েছে আত্মবিশ্বাস দেখানোর। তাছাড়া এখনও রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়নি। এক শতাংশও যদি সুযোগ থাকে, তাহলেও তো সুযোগ রয়েছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যাই বলি না কেন, ওটা দারুণ প্রেস কনফারেন্স ছিল।’
গম্ভীর আরও যোগ করেন, ‘একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে ক্রিকেটারদের ভরসা জোগানো ওর কর্তব্য। এমন পরিস্থিতিতে আপনি শুধু সেটাই করতে পারেন। মাঠে গিয়ে ক্রিকেটারদের উদ্দীপ্ত করে লড়াইয়ে ঠেলে দেওয়াটাই ক্যাপ্টেনের কর্তব্য। বাবর আজম ঠিক সেটাই করেছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে বাবর বলেন, ‘বেশ কিছু বিষয়ের কথা মাথায় রাখতে হবে আমাদের। পার্টনারশিপের দিকে নজর দিতে হবে। কোন প্লেয়ার ক্রিজে কতক্ষণ থাকবে, তার উপরেও নির্ভর করছে অনেক কিছু। তবে আমাকে জিজ্ঞাসা করলে বলব যে, ফখর জামান যদি ২০-৩০ ওভার ব্যাট করতে পারে, তবে আমরা বড় রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি। তার পরে রিজওয়ান, ইফতিকার রয়েছে। আমরা এটা করে দেখাতেই পারি এবং আমাদের গেমপ্ল্যান তৈরি রয়েছে।’