আইপিএল ২০২৫-এর ৪৬তম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এই ম্যাচটি ৬ উইকেটে জেতে বিরাট কোহলিদের আরসিবি। তবে এই হারের জন্য টসকেই দায়ী করেছেন কেভিন পিটারসেন। তিনি বলেন টসের কন্ডিশন তাদের পক্ষে ছিল না। কেভিন পিটারসেন বলেছেন ভবিষ্যতে পারফেক্ট ম্যাচ দেখা যাবে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর কেভিন পিটারসেন মনে করেন, দলটি এখনও তাদের ‘পারফেক্ট ম্যাচ’ খেলেনি এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ছয় উইকেটে হারের পর তিনি টসের গুরুত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। শীর্ষস্থানে যাওয়ার লক্ষ্যে থাকা দিল্লি তাদের তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয়বারের জন্য পরাজয়ের স্বাদ পেল এবং পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে নেমে এল। টস হেরে দিল্লির সামনে ছিল হোম গ্রাউন্ডে প্রতিপক্ষের সামনে বড় লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করানোর চ্যালেঞ্জ।
কেএল রাহুলের শান্ত ৪১ (৩৯)-র ইনিংস দিল্লির ইনিংসের মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়ায়, আর ত্রিস্তান স্টাবসের ঝড়ো ৩৪ (১৮) গুরুত্বপূর্ণ মোমেন্টাম এনে দেয়। দুজনে মিলে দিল্লিকে ১৬২/৮ রানে পৌঁছে দিলেও সেটা ফর্মে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে যথেষ্ট ছিল না।
ম্যাচের পর, পিটারসেন স্পষ্ট করে বলেন, এই ম্যাচের ফল নির্ধারণে টসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। টস জিতে আরসিবি অধিনায়ক রজত পতিদার ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যা দিল্লিও চেয়েছিল, কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির পড়ার সম্ভাবনা এবং প্রথম ইনিংসে পিচের শুষ্কতা তাদের মাথায় ছিল।
আরও পড়ুন … ভারতের T20I দলে ফিরবেন কেএল রাহুল.. গম্ভীর-আগরকরকে বিশেষ পরামর্শ দিলেন পিটারসেন
পিটারসেন ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘আমার মনে হয় টস জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শিশির ছিল, এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে আমাদের জন্য ব্যাটিং কিছুটা কঠিন ছিল। তখন উইকেট ছিল শুষ্ক এবং শিশির তখনও পড়েনি। গতকাল রাতের অনুশীলনের সময়ও শিশির ছিল না।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই শিশির ঠিক কতটা প্রভাব ফেলেছে, তবে পরিসংখ্যান বলছে গত সাতটি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দলই জিতেছিল, তাই এই ম্যাচ ছিল প্রথম সফল চেজ। আজ আমরাও চেজ করতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয় টস এবং কন্ডিশন আমাদের পক্ষে ছিল না।’
আরও পড়ুন … টি-টোয়েন্টি এতটাও সহজ নয়… সমালোচকদের জবাব দিয়ে ক্রুণালের প্রশংসায় কোহলি
এই সিজনের শুরুতে টানা চারটি জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, দিল্লি কিছু কঠিন ম্যাচে জিতেছে, বিশেষ করে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে, যেখানে তারা প্রায় হেরে গিয়েছিল, কিন্তু ইতিহাস গড়ার মতো এক কামব্যাক করে ম্যাচ বের করে আনে তারা। মিচেল স্টার্কের ডেথওভারে দক্ষতার ফলে দিল্লি সুপার ওভারে ম্যাচ নিয়ে গিয়ে স্টিলের মতো স্নায়ু দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনে। এমনকি সিজনের শুরুতেই লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে এক উইকেটের নাটকীয় জয় পায় দিল্লি, যেখানে আশুতোষ শর্মার অবিশ্বাস্য ইনিংস ছিল মূল নায়ক।
দলের পারফরম্যান্স সম্পর্কে পিটারসেন বলেন, ‘আমরা এখনও সব বিভাগে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি, আর আমি মনে করি এটা ভালো একটা দিক। আমরা এখনও পারফেক্ট ম্যাচ খেলিনি, তবে আমি বিশ্বাস করি সেটা খুব তাড়াতাড়ি সকলে দেখতে পাবেন।’