ভারত এই নিয়ে মোট ৫ বার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠে। টিম ইন্ডিয়া ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৩ সালে ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রফি জেতে ভারতীয় দল। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারত প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পরাজিত হয় নিউজিল্যান্ডের কাছে। পরে একবার পাকিস্তানের কাছেও খেতাবি লড়াইয়ে হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া।
ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠে ২০০০, ২০০২, ২০১৩, ২০১৭ ও ২০২৫ সালে। অর্থাৎ, এই নিয়ে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাবি লড়াইয়ে জায়গা করে নেয় টিম ইন্ডিয়া। ২০০০ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ফাইনালে হেরে যায় ভারত। সেই একবারই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয় দু'দেশ। দীর্ঘ আড়াই দশক পরে ফের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মাঠে নামছে ভারত-নিউজিল্যান্ড।
কিউয়িরা এই নিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠে। তারা ২০০০ সালের ফাইনালে ভারতকে হারানো ছাড়া ২০০৯ সালের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায়। অর্থাৎ, কিউয়িরা শেষবার মিনি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে দীর্ঘ ১৬ বছর আগে। এমন পরিস্থিতিতে দেখে নেওয়া যার ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনালে ঠিক কী ঘটেছিল।
২০০০ সালে ভারত-নিউজিল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের ফলাফল
২০০০ সালের ১৫ অক্টোবর নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের ক্যাপ্টেন ছিলেন স্টিফেন ফ্লেমিং। ভারতকে নেতৃত্ব দিতে নামেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত।
টিম ইন্ডিয়া নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৬৪ রান সংগ্রহ করে। ক্যাপ্টেন সৌরভ ওপেন করতে নেমে ১৩০ বলে ১১৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তিনি ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৮৩ বলে ৬৯ রান করেন অপর ওপেনার সচিন তেন্ডুলকর। তিনি ১০টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া রাহুল দ্রাবিড় ২২, যুবরাজ সিং ১৮ ও অজিত আগরকর ১৫ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২টি উইকেট নেন স্কট স্টাইরিস।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড শেষ ওভারের থ্রিলারে জয় তুলে নেয়। ৪৯.৪ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৬৫ রান তুলে চ্যাম্পিয়ন হয় কিউয়িরা। ১১৩ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রিস কেয়ার্নস। তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৭২ বলে ৪৬ রান করেন ক্রিস হ্যারিস। তিনি ৪টি চার মারেন। ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ৩টি ও অনিল কুম্বলে ২টি উইকেট নেন।