হেডিংলে টেস্টে ব্যাকফুটে ইংল্যান্ড, ফ্রন্টফুটে ভারত। বিরাট, রোহিতের অনুপস্থিতিতে অনেকেই এমনটা আশা করতে পারেননি। এবারে ইংল্যান্ড সফরে তেমন ভিড় হয়নি বিমানবন্দরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দেখতে। স্বাভাবিক বিষয়, কারণ বিরাট কোহলির মতো শো স্টপাররা নেই। তবে লিডস টেস্টে প্রথম দিনেই যশস্বী জসওয়াল, শুভমন গিলরা যে পারফরমেন্স করে দেখালেন, তাতে পরের টেস্ট থেকেই ফের মাঠ পুরো ভরতেই পারে। পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদেরও তাঁরা আশ্বস্ত করে দিলেন, দলের ব্যাটন সঠিক লোকের হাতেই রয়েছে।
যশস্বী জসওয়াল প্রথম দিনেই ১০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। আর শুভমন গিল ১২৭ রানের ইনিংস খেলে এখনও উইকেটে অপরাজিত রয়েছেন। দ্বিশতরান করতে পারলে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টে ডবল সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়তে পারেন গিল। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফিতে প্রথম দিনেই গিল-যশস্বীর পারফরমেন্স দেখে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে ২ দশকেরও বেশি সময় আগেকার কথা।
২০০২ সালে লিডসের এই মাঠেই দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, যার সাক্ষী ছিলেন স্বয়ং মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিনের স্মৃতিই এদিন যেন টাটকা হয়ে গেল মাস্টার ব্লাস্টার্সের। ২৩ বছর আগের সেই ইনিংসের সঙ্গেই যশস্বী- গিলের এদিনের পারফরমেন্সের তুলনা টেনে ফেললেন লিটল মাস্টার্স।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘লোকেশ রাহুল এবং যশস্বী জসওয়াল ভালো ভিত গড়ে দেওয়ার পর ভারতীয় দল ভালো খেলেছে প্রথম দিনে। যশস্বী এবং শুভমন গিলকে অনেক শুভেচ্ছা, তাঁদের অনব্য শতরানের জন্য। ঋষভ পন্তেরও অবদান ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজকে ভারতের ব্যাটিং দেখে আমার ২০০২ সালের হেডিংলে টেস্টের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে, যেখানে আমি, রাহুল দ্রাবিড় আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম ইনিংসে শতরান করেছিলাম। এরপর আমরা সেই টেস্ট ম্যাচ জিতেও ছিলাম। আজকে যশস্বী আর শুভমন নিজেদের কাজটা ভালোভাবেই সামলেছে, এই ম্যাচে তৃতীয় শতরানটা কে করবে এবার সেটাই দেখার ’।
সেই ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকর করেছিলেন ১৯৩ রান। রাহুল দ্রাবিড় কেন ১৪৮ রান। আর অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় করেছিলেন ১২৮ রান। সচিনের পোস্টে তাই মহারাজও লিখলেন, ‘এই যে চ্যাম্পিয়ন! এবার কিন্তু চারটে শতরানও হতে পারে। ভালো ব্যাটিং উইকেট। পন্ত আর করুণ করতে পারে শতরান। ২০০২ সালের সেই টেস্টের প্রথম দিনের উইকেট এর থেকে আলাদা ছিল ’।
এরপর পাল্টা সচিন তেন্ডুলকর পোস্টে ফিঙ্গার ক্রস-এর ইমোজি দেন। অর্থাৎ বুঝিয়ে দেন চারটে শতরান এলে তো আরও ভালো হবে। আপাতত দেখার ঋষভ পন্ত নিজের ৬৫ রানের ইনিংসকে মাথা ঠান্ডা রেখে শতরানে কনভার্ট করতে পারেন কিনা, এই টেস্টে পন্তে অনেক দায়িত্বশীল ইনিংস খেলতেই দেখা গেছে এখনও পর্যন্ত।