চলতি তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগে ফের ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যদিও ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারলেন না ডিন্ডিগুল ড্রাগনসের ক্যাপ্টেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চিপক সুপার গিল্লিসের বিরুদ্ধে ড্রাগনসের হয়ে বল হাতে নজর কাড়েন বরুণ চক্রবর্তী। অশ্বিনও উইকেট তোলেন আঁটোসাটো বোলিং করে। তা সত্ত্বেও উত্তেজক ম্যাচে অল্পের জন্য হারতে হয় ড্রাগনসকে।
চিপক বনাম ডিন্ডিগুল ম্যাচে দুই যমজ ভাইয়ের মুখোমুখি লড়াই দেখা যায়। চিপককে নেতৃত্ব দিতে নেমে হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাবা অপরাজিত। ড্রাগনসের হয়ে পালটা ব্যাট করতে নেমে অর্ধশতরান করেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। যদিও শেষ হাসি হাসেন চিপকের দলনায়ক।
এই ম্যাচে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের ঝলক দেখান অনেকেই। তবে মাত্র ২ ওভার বল করে ৫টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়ক হয়ে দেখা দেন চিপক সুপার গিল্লিসের লোকেশ রাজ।
সালেম ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে চিপক। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করে। ৩৮ বলে ৫৬ রান করেন বাবা অপরাজিত। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। নারায়ণ জগদিশান ১১ ও বিজয় শঙ্কর ২৬ রানের যোগদান রাখেন।
ড্রাগনসের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। অশ্বিন ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন। সন্দীপ ওয়ারিয়র ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি অশ্বিনের
পালটা ব্যাট করতে নেমে তীরে এসে তরী ডোবে ডিন্ডিগুল ড্রাগনসের। তারা ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রানে আটকে যায়। ৮ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে চিপক। অশ্বিন ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৪৬ বলে ৬৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা।
উল্লেখ্য, অশ্বিন মাদুরাই প্যান্থার্সের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৪৯ রান করে আউট হন। সুতরাং, ড্রাগনসের হয়ে পরপর ২টি ম্যাচে বড় রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেন রবিচন্দ্রন।
চিপকের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে বাবা ইন্দ্রজিৎ ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ৭৩ রান করে আউট হন। চিপকের লোকেশ রাজ ২ ওভারে ১৩ রান খরচ করে ৫টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন তিনিই।