পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হয়ে উঠেছে। ভারতের কাশ্মীরে ২ সপ্তাহ আগেই বেছে বেছে হিন্দুদের মেরেছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপর পাল্টা ভারতও একদিন আগেই পাকিস্তানের মাটিতে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে এয়ারস্ট্রাইকের মাধ্যমে। পরপর মিশাইল হানায় ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে জঙ্গিদের ডেরা।
পাল্টা পুঁচ সেক্টরে ফের পাকিস্তানিরাও হামলা চালিয়েছে। অর্থাৎ পাকিস্তান যে অশান্তি থামানোর একদমই পক্ষপাতি নয়, সেকথা বলাই বাহুল্য। ফলে ভারতের পক্ষেও এই পরিস্থিতিতে চুপ থাকার কাজটা কঠিন হয়। আর পাল্টা প্রত্যাঘাত যদি ভারত আবার করে, সেক্ষেত্রে কিন্তু পাকিস্তানের কপালে দুঃখ রয়েছে, সেকথা বলাই বাহুল্য।
এই পরিস্থিতিতে মহা বিপাকে পড়েছে পাকিস্তানে খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটাররা। যারা এই ধরণের অশান্তির সঙ্গে একদমই সড়গড় নয়। ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার পিএসএল অর্থাৎ পাকিস্তান সুপার লিগে খেলছে। জানা যাচ্ছে, তাঁরা দেশে ফিরতে চেয়েছেন। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এই নিয়ে বৈঠকও সেড়ে ফেলেছে নিজেদের মধ্যে যে এই পরিস্থিতিতে কি করা উচিত।
দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী বেশ কয়েকজন পাকিস্তান দ্রুত ছাড়তে চাইলেও কয়েকজন ইংরেজ ক্রিকেটার আপাতত সেদেশে থাকতে রাজি হয়েছে পিএসএলের সময়। PSL-এ খেলা ইংরেজ ক্রিকেটাররা হলেন জেমস ভিনস, টম কারান, স্যাম বিলিংস, ক্রিস জর্ডন, ডেভিড উইলি, লুক উড এবং টম কোহলার ক্যাডমোর। এছাড়াও রবি বোপারা, অ্যালেক্সান্ডার হার্টলির মতো কোচরাও রয়েছেন।
ক্রিকেটারদের একাংশ দেশ ছাড়তে চাইলেও তাঁদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। কারণ ম্যাচ ফি বাবদ পয়সা পাওয়ায়, তাঁরা যদি পিএসএলের মাঝে পাকিস্তান ছাড়ে সেক্ষেত্রে তাঁরা প্রাপ্য বেতন পাবেন না। গ্রুপ স্টেজ শেষ হচ্ছে ১১ মে। পাকিস্তানের এক এজেন্ট যিনি বিদেশি ক্রিকেটারদের বিষয়টি দেখভাল করেন,তিনি জানিয়েছেন, ‘মনে হচ্ছে পরিস্থিতি একটু উন্নতি হবে, আকাশপথও খোলা হবে। নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় সবাই রয়েছে। যদি তেমন কিছু ঘটনা ঘটে আগামী ২৪ ঘন্টায় তাহলে অনেকেই দেশ ছাড়ার কথা ভাবতে পারে। তবে এখনই দলবদ্ধ হয়ে সবার দল ছাড়ার সম্ভাবনা আমি দেখছি না ’।
প্রসঙ্গত ভারতের অপারেশন সিঁদুর কেবলমাত্র পাকিস্তানের জঙ্গঘাঁটি লক্ষ্য করেই করা হয়েছে, এক্ষেত্রে যাতে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ বা সেনাবাহিনির কেউ আঘাত না পায়, তাও নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের জঙ্গিরা বেছে বেছে ভারতের নিরীহ মানুষ, বিশেষ করে হিন্দুদেরকেই খুন করেছেন। আর ভারতের পাল্টা জবাবের পরও পাকিস্তান সেই অশান্তি থামানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করছে না, বরং ফের অশান্তি ছড়াচ্ছে।