প্লে-এফে উঠলেও, শেষ রক্ষা হল না। এলিমিনেটর থেকেই ছিটকে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এই মরশুমেও অধরা থাকল শিরোপা। আইপিএলের ১৭ বছরেও একটিও ট্রফি ঢুকল না আরসিবি শিবিরে। বুধবার এলিমিনেটরে আরসিবিকে ৬ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার-টু-তে পৌঁছে গিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। একদিকে উৎসবের মেতেছিল আরআর, অন্যদিকে শোকের পরিবেশ বেঙ্গালুরু শিবিরে।
টানা পরাজয়ের পর রাজস্থান প্লে-অফে এসে ফের জয়ে ফেরে। এদিকে আরসিবি টানা ছয় ম্যাচ জিতে প্লে-অফে উঠলেও, এলিমিনেটরেই মুখ থুবড়ে পড়ে। আর ২০২৪ আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে দলের অধিনায়ক ফ্যাফ ডু'প্লেসি হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁদের হারের জন্য শিশিরকেই দায়ী করেছেন। দল হারলেও, প্লেয়ারদের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন ডু'প্লেসি।
আরও পড়ুন: প্রত্যেকেই নিজেদের দায়িত্ব দারুণ ভাবে পালন করেছে- KKR-এর সাফল্যে টিম গেমের স্তুতি শ্রেয়সের মুখে
কী বললেন ক্যাপ্টেন?
টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ফ্যাফ ডু'প্লেসি বলেন, ‘মাঠে শিশির পড়ছিল। আমাদের মনে হয়েছে, ব্যাট হাতে আমরা কিছুটা কম রান করেছিল। আমি মনে করি, ২০ রান মতো আমরা কম করেছি এই পিচে। ২০ রান আরও করতে পারলে, এখানে ভালো স্কোর হতো। তবে কৃতিত্ব খেলোয়াড়দেরই যায়, তারা ভালো লড়াই করেছে।’
স্কোর কি হওয়া উচিত ছিল?
ডু'প্লেসি আরও বলেছেন, ‘আপনি যদি এই পিচ এবং কন্ডিশন দেখেন, তবে বলবেন এখানে ১৮০ রান মতো করলে তা ভালো হবে। কারণ পিচ বেশ মন্থর। তার উপর বল শুরুর দিকে স্যুইং করছিল। তবে এবার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের জন্য দেখছি কোনও স্কোরই যথেষ্ট নয়। তার ওপর শিশির তো রয়েছেই। গোটা দলকে নিয়ে অবশ্য আমি গর্বিত। একটা সময়ে নয়ে নেমে এসেছিলাম আমরা। তারপর টানা ৬ ম্যাচ জিতে প্লে অফে জায়গা করে নেওয়া বড় বিষয় ছিল। তবে ব্যাট হাতে ওই বাড়তি ২০ রান আর করতে পারলাম না।’
আরও পড়ুন: হার্দিককে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েছে- MI-এর ব্যর্থতা নিয়ে দাবি হরভজনের
ম্যাচটা কেমন ছিল?
এলিমিনেটরে টস জেতে রাজস্থান রয়্যালস। এবং প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি সঞ্জু স্যামসন। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নামার পর, আরসিবি-কে তাদের ছন্দে পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যাট হাতে কোনও তারকাই আহামরি পারফরম্যান্স করতে পারেননি। ২৪ বলে ৩৩ করেন বিরাট, ফ্যাফ করেন ১৪ বলে ১৭ রান। ২১ বলে ২৭ করে আউট হন ক্যামেরন গ্রিন। সর্বোচ্চ ৩৪ রান (২২ বলে) করেন রজত পাতিদার। এছাড়া মহিপাল লোমরোর ১৭ বলে ৩২ রানই যেটুকু পুঁজি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭২ রান করে আরসিবি।
রান তাড়া করতে নেমে দলের হাল ধরেন যশস্বী জয়সওয়াল। ৩০ বলে ৪৫ করেন তিনি। তবে টম কোহলার-ক্যাডমোর (১৫ বলে ২০) এবং সঞ্জু স্যামসন (১৩ বলে ১৭) হতাশ করেন। রিয়ান পরাগ ২৬ বলে ৩৬ করেন। এছাড়া ১৪ বলে ২৬ করেন শিমরন হেতমায়ের। ৮ বলে ১৬ করে অপরাজিত থাকেন রোভম্যান পাওয়েল। ১৯ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৪ করে ফেলে রাজস্থান।