টিম ইন্ডিয়ার নতুন টেস্ট অধিনায়ক হলেন শুভমন গিল। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে গিলের প্রথম টেস্ট সিরিজ হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে এই সিরিজ শুরুর আগে অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা বলেছেন যে, তিনি টেস্ট অধিনায়ক হতে চান। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পডকাস্টে আলাপচারিতার, রবীন্দ্র জাদেজা বলেছিলেন যে, অবসর নেওয়ার আগে তিনি টেস্ট অধিনায়ক হতে চান। রবীন্দ্র জাদেজাকে জিজ্ঞেস করছিলেন অশ্বিন যে, ‘অবসর নেওয়ার আগে তুমি ক্রিকেটে কী অর্জন করতে চাও?’ এই প্রসঙ্গে জাদেজা বলেন, ‘টেস্ট অধিনায়কত্ব।’
জাদেজার পক্ষে সাওয়াল করেছিলেন অশ্বিন
প্রসঙ্গত, যখন টিম ইন্ডিয়ার নতুন টেস্ট অধিনায়কের সন্ধান চলছিল, তখন রবিচন্দ্রন অশ্বিন টুইট করেছিলেন যে, জসপ্রীত বুমরাহের টেস্ট অধিনায়ক হওয়া উচিত। যদি তিনি রাজি না হন, তবে জাদেজাও একটা ভালো বিকল্প হতে পারে। কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট শুভমন গিলকে এর যোগ্য মনে করেছে। তাই শুভমন গিলকে টেস্ট অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে এবং প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর এতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জাদেজা কি অধিনায়কত্বের যোগ্য?
রবীন্দ্র জাদেজার অধিনায়কত্বের খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। ২০২৩ সালের রঞ্জি ট্রফিতে তিনি সৌরাষ্ট্রের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। এছাড়াও, এই খেলোয়াড় আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়কত্বও করেছেন। কিন্তু মাঝপথে তিনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। তার মানে জাদেজা অধিনায়কত্ব করেছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর তেমন অভিজ্ঞতা নেই। প্রসঙ্গত, জাদেজা টেস্ট অধিনায়কত্ব সম্পর্কে একটি মজার কথাও বলেছেন, যা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
জাদেজার দাবি, টেস্টে অধিনায়কত্ব করা সহজ
জাদেজা বলেছেন যে, টেস্ট অধিনায়কত্ব টি-টোয়েন্টির চেয়ে সহজ। জাড্ডুর দাবি, ‘প্রতিটি অধিনায়কের দলকে কী ভাবে পরিচালনা করতে হবে, সেই সম্পর্কে আলাদা আলাদা মানসিকতা থাকে। আমি প্রতিটি ফর্ম্যাটে এমএস ধোনির অধীনে খেলেছি এবং তার চিন্তাভাবনা খুবই সহজ। যদি সে মনে করে যে, একজন ব্যাটসম্যান কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে শট মারতে পারে, তাহলে সে ব্যাটসম্যানকে অস্বস্তিতে ফেলতে ফিল্ডারকে সেখানে রাখে।’
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘টেস্ট ফর্ম্যাটে, দু'জন বা তিন জন ফিল্ডার পরিবর্তন করতে হয়, তাও বোলারের মতে। ব্যাটসম্যানের হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে কোনও ফিল্ডিং পরিবর্তন হয় না। তুমি জানো, কখন বোলার ভালো ছন্দে থাকে, আর কখন থাকে না। আপনি এটা জানেন, আইপিএল এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রতিটি বলেই পরিবর্তন হয়। আমি অনেক অধিনায়কের সঙ্গে খেলেছি, টেস্টে ব্যাটিং অর্ডার এত পরিবর্তন করার দরকার নেই।’