গত বছর ডিসেম্বরে শ্রেয়সের কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল রজত পতিদারকে। তবে মাস ছয়ের মধ্যেই সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিলেন পতিদার। এবার আরও বড় মঞ্চে। একদা শ্রেয়সের দলের কাছে খেতাবি লড়াইয়ে হেরে ট্রফি হাতছাড়া করতে হয় রজতকে। এবার অন্য একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে শ্রেয়সকে ট্রফি ছুঁতে দিলেন না তিনি। বরং নিজে গড়লেন ইতিহাস।
এবছর আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে সম্মুখসমরে নামে শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন পঞ্জব কিংস ও রজত পতিদারের আরসিবি। ফাইনালে পঞ্জাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ট্রফি হাতে তোলেন পতিদার। দূরে দাঁড়িয়ে সেই ছবি দেখতে হয় পঞ্জাবের ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ারকে।
অথচ ঠিক উল্টো ছবি দেখা গিয়েছিল জাতীয় টি-২০ টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে সম্মুখসমরে নামে মুম্বই ও মধ্যপ্রদেশ। এই ম্যাচে মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশকে নেতৃত্ব দেন রজত পতিদার।
মুস্তাক আলির ফাইনালে পতিদারের মধ্যপ্রদেশকে হারিয়ে দেয় শ্রেয়সের মুম্বই। সুতরাং, সেবার ট্রফি হাতে তোলেন শ্রেয়স এবং দূরে দাঁড়িয়ে সেই ছবি দেখতে হয় পতিদারকে। অর্থাৎ, রজত শ্রেয়সের থেকে মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে হারের বদলা নিলেন বলা যায়।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে কী ঘটে?
মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে শুরুতে ব্যাট করে রজতের মধ্যপ্রদেশ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে। ৪০ বলে ৮১ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন পতিদার। তিনি ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। এছাড়া বেঙ্কটেশ আইয়ার করেন ১৭ রান। মুম্বইয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর ও রয়স্টোন ডায়াস।
পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রেয়স আইয়ারের মুম্বই ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৩ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বই। সূর্যকুমার যাদব মুম্বইয়ের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৮ রান সংগ্রহ করেন। ৩৫ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
অজিঙ্কা রাহানে করেন ৩০ বলে ৩৭ রান। তিনি ৪টি চার মারেন। শ্রেয়স আইয়ার ৯ বলে ১৬ রান করেন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। সূর্যাংশ শেডগে ১৫ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।