২০১১ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ডে যে ভারতীয় টেস্ট দল গেছে, সেখানে বিরাট কোহলি বা রোহিত শর্মা নেই। এর আগে তো সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো তারকারা ছিলেন যারা ইংল্যান্ডে থাকা ভারতীয়দের আকর্ষণ টানতেন। কিন্তু তাঁদের পরবর্তীতে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং বিরাট, রোহিতরাই দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন ভারতীয় টেস্টের। কিন্তু দুই তারকা ক্রিকেটারই মে মাসের শুরুর দিকে পরপর অবসর নিয়ে নিয়েছেন টেস্ট ফরম্যাট থেকে, আর তাতেই যেন ভারতীয় দলকে ঘিড়ে যে উন্মাদনা থাকে অন্যান্যবারের ইংল্যান্ড সফরে, এবারে সেটা একদমই উধাও। দলে কোচ গৌতম গম্ভীর বা জসপ্রীত বুমরাহ-রা থাকলেও তাঁদের ফ্যানবেস কারোরই বিরাট বা রোহিতের মতো নয়। এবারের ইংল্যান্ড সফর যে ভারতের কাছে অন্যান্যবারের তুলনায় একটু অন্যরকম যাবে তাও বোঝা গেল।
শুভমন গিলরা শনিবার লণ্ডন বিমানবন্দরে পৌঁছান। কিন্তু অন্যান্যবার বিদেশের যে কোনও বিমানবন্দরে গেলেই বিরাট কোহলিদের জন্য উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়। যারা টিকিট কেটে মাঠে যেতে পারবেন না, বা যারা সত্যিকারের ক্রিকেটপ্রেমি, তাঁরা প্রথম দিন থেকেই বিরাট-রোহিতদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে থাকতেন। কিন্তু এবাররে ইংল্যান্ড সফরের শুরুতে কিন্তু তেমন চিত্র ধরা পড়ল না।
যদি কয়েক মাস পিছনে ফিরে যাওয়া যায়, তাহলে সবারই মনে পড়ে যাবে ২০২৪-র শেষদিকে বিরাট কোহলিসহ ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফর। সেই সময় রোহিত শুরুর দিকে ছিলেন না, তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ায়। কিন্তু বিরাট কোহলি যেহেতু ছিলেন, তাই তাঁদের দেখতে বিমানবন্দর হোক বা স্টেডিয়ামের প্র্যাকটিস সেশন, সব জায়গাতেই ভিড় জমাতেন ভক্তরা। বিরাটকে বিশেষ করে দেখতে এতই ভিড় বেড়ে যাচ্ছিল যে বাধ্য হয়ে ভারতীয় দলকে ক্লোজ ডোর অনুশীলনও করতে হয়েছিল।
কিন্তু যে ছবি দেখা গেল ইংল্যান্ডে প্রথম দিনে, তা বেশ হতাশ করারই মতো। ভারতের সাংবাদিক বিমল কুমার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন সোশাল মিডিয়ায়, যেখানে তেমন কোনও ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থককেই ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সমর্থনে বিমানবন্দরে বা রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ তাঁদের নিয়ে যে উন্মাদনা থাকে সমর্থকদের মধ্যে, সেটারই যেন অভাব দেখা দিয়েছে তারকাদের অনুপস্থিতিতে। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, কারণ অনেকেই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের অবসরের পিছনে অন্যরকম কারণও খোঁজার চেষ্টা করেছেন।