মহাদেব অ্যাপ মামলায় এবার নয়া মোড়। তদন্তে উঠে আসছে সৌরভ চন্দ্রকর ও রবি উপ্পল এই বেটিং চক্রের মূল পাণ্ডা। ইডি তাদের দুজনকে চিহ্নিত করেছে। মহাদেব খিলাড়ি নামে একটি অ্য়াপের মাধ্য়মে এই ম্য়াচ ফিক্সিং করা হত বলে অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার স্থানীয় আদালতের নির্দেশে মহারাষ্ট্র পুলিশ একটি এফআইআর রুজু করেছে।
প্রাথমিকভাবে যেটা জানা যাচ্ছে দেশের একাধিক শহরে তারা জাল বিছোতে শুরু করেছিল। মূলত বিটকয়েনের নাম করেও এসব চলত। লন্ডন, কলকাতা, মুম্বই, ছত্তিশগড়ের একাংশে এই চক্র তাদের জাল ছড়িয়েছিল বলে খবর।
আসলে ওই দুই পান্ডা ভিলাইয়ের বাসিন্দা। পরে তারা দুবাইতে চলে যায়। এরপর তারা মহাদেব বেটিং নেটওয়ার্ক চালাতে শুরু করে। ছত্তিশগড় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করে।
তবে অভিযুক্ত দুজন অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে। তাদের দাবি তারা ইডিকে সহযোগিতা করেছে। সেই সঙ্গে ক্রিকেটের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ ছিল না বলেও তারা দাবি করেন।
এদিকে সমাজকর্মী প্রকাশ বাঙ্কর এই অভিযোগ করেছিলেন। ১৫,০০০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, এই সিন্ডিকেটের মাধ্য়মে ক্রিকেটের ম্যাচ ফিক্সিংও করা হত। অন্তত ৩২টি নাম উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। তার মধ্য়ে অন্তত ৫টি নাম অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে। কীভাবে কাজ করত এই চক্র?
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকত। সেখান থেকে তারা এই চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করত। এমনকী কয়েকজন মধ্য় প্রাচ্য়েও ঘাঁটি গেড়েছে। প্রায় কোটি টাকার লেনদেন হত রোজ। বিটকয়েন বা হাওয়ালার মাধ্যমে এই টাকা বিদেশে চলে যেত। খিলাড়ি অ্য়াপ অথবা অন্য় পোর্টালের মাধ্য়মে তারা কাজ করত। বিদেশে বসেও ভারতে ম্য়াচ ফিক্সিংয়ের কাজ করা হত বলে অভিযোগ।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল মহাদেব অ্য়াপের মালিক শুভম সোনি আবার ছত্তিশগড়ের মুখ্য়মন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছেন যে তিনি এই সবের পেছনে রয়েছেন। তবে চন্দ্রশেখর আর উপ্পল দুবাইয়ের গোপন ডেরা থেকে বিবৃতি জারি করছেন সোনির অভিযোগ ঠিক নয়।