ভারতীয় ক্রিকেট দলের পেসার মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে। সম্প্রতি হাসিন জাহানের প্রতিবেশী ডালিয়া খাতুন পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাসিন জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, হাসিন জাহান তাঁকে মারধর করেছেন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছেন এবং এমনকি খুনের চেষ্টাও করেছেন।
এই অভিযোগের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে তুমুল চর্চা চলছে, যেখানে নাকি পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে Hindustan Times-এর তরফ থেকে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোটা ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি শহরে একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে। সেই জমিতে মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান তাঁর মেয়ে আরশির নামে নির্মাণকাজ শুরু করলে প্রতিবেশীরা আপত্তি জানান, কারণ তাঁর দাবি অনুযায়ী জমিটি বিতর্কিত।
জানা গেছে, এর আগেও হাসিন জাহান প্রতিবেশী ডালিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই ঘটনার আগেও শামিকে ঘিরে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন জাহান। তিনি দাবি করেন, শামি তাঁকে হেয় করেছেন, এবং তাঁকে পরাজিত করতে অপরাধীদের ব্যবহার করেছেন। এমনকি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জাহান শামিকে ‘চরিত্রহীন, লোভী ও নীচু মানসিকতার’ বলেও আক্রমণ করেন।
এই পোস্টটি আসে কলকাতা হাই কোর্ট-এর সেই রায়ের পরে, যেখানে শামিকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, তিনি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহান ও মেয়ে আইরাকে প্রতি মাসে ৪ লক্ষ টাকা খোরপোষ দিতে বাধ্য থাকবেন।
জাহান ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের একটা সম্পর্ক থাকবে, ইনশাআল্লাহ। এখন তোমার ঠিক করতে হবে, সেই সম্পর্কটা কেমন হবে। ৭ বছর ধরে আমরা আইনি লড়াই করছি। তুমি এতে কী পেলে? তোমার চরিত্রহীনতা, লোভ আর নিচু মানসিকতার জন্য তুমি নিজের পরিবারটাকেই ধ্বংস করেছো।’
তিনি আরও লেখেন, ‘তুমি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সুবিধা নিয়ে চুপচাপ সুখে ছিলে, যখন সমাজের অসামাজিক কিছু মানুষ আমাকে দোষী বলেছে। এখন আমি আইনের সহায়তা নিয়ে আমাদের সমস্ত অধিকার দাবি করব এবং শান্তিতে জীবন কাটাব ইনশাআল্লাহ। এখন তুমি ভেবে দেখো—সামাজিক সমর্থন বড়, না আইনি সমর্থন?... যেদিন তোমার খারাপ সময় শুরু হবে, সেই একই মানুষরাই তোমার জীবনকে নরক বানাবে ইনশাআল্লাহ। বিশ্বাস রাখো।’ অন্যদিকে, মহম্মদ শামি এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি, এবং নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করে চলেছেন।