ইংল্যান্ড-ইন্ডিয়া সিরিজ শুরুর কয়েকমাস আগেই জানতে পারা গেছিল, যে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এবারের সিরিজের শেষে ট্রফির নামকরণ বদলে দেওয়া হবে। আগে ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক নবাব মনসুর আলি খান পতৌদির নামাঙ্কিত ট্রফি দেওয়া হত ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের জয়ী দলকে। যদিও এবার থেকে সেই ট্রফির নাম বদলে রাখা হয় তেন্ডুলকর-অ্যান্ডারসন ট্রফি। অর্থাৎ বিশ্বের সর্বোচ্চ রানের মালিক এবং টেস্টে ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিককে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় ইসিবি।
এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন ১৯৮৬র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। তিনি স্পষ্টতই জানাচ্ছেন, প্রথম যখন তিনি জানতে পারেন যে পতৌদির নাম সরে যাচ্ছে এই সিরিজের ট্রফি থেকে তখন তিনি অবাকই হয়েছিল। ২০০৭ সাল থেকেই এই ট্রফির নামকরণ করা হয়েছিল ভারতের প্রাক্তন অধিনাকের নামে, তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য। ইংল্যান্ডের সঙ্গে আসলে পতৌদি পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইফতিখার আলি খান পতৌদি এবং তাঁর ছেলে মনসুর আলি খান পতৌদি, ভারতের অধিনায়কত্ব করার পাশাপাশি ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটও খেলেছেন।
কপিল দেবকে এই নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল এক ইভেন্টে। সেখানেই ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘বিষয়টা একটু অদ্ভূত লাগছে আমার কাছে। যে এমনটা হয় নাকি? কিন্তু ঠিক আছে। ক্রিকেটে সবই হয়। আর দিনের শেষে, এই সিদ্ধান্তে তো তেমন কোনও পার্থক্যও নেই। মাঠে ক্রিকেটটা ঠিক থাকলেই হল ’।
জানা যায়, ইসিবির এই সিদ্ধান্তের পর সমালোচনা শুরু হওয়ায় সচিন তেন্ডুলকর নিজেই নাকি ইসিবিকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহও চেষ্টা করেন ইসিবিকে বোঝানোর। যদিও এরপর ইংল্যান্ড বোর্ড পতৌদি পদক দেওয়ার কথা জানায়, যা সিরিজের জয়ী অধিনায়ককে দেওয়া হবে। এই সিরিজ ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অনুপস্থিতিতে শুভমন গিলের নেতৃত্বে ভারত এই সিরিজে খেলতে নামবে। তাই কপিল দেব গিলকে পরামর্শ দিচ্ছেন, কোনও চাপ না দিয়ে শুধু নিজের সেরা খেলাটুকু খেলতে, তাহলেই কাঙ্খিত ফল আসবে।