ভারতীয় ক্রিকেট দল আপাতত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে পিছিয়ে রয়েছে ১-২ ফলে। লর্ডসে রবীন্দ্র জাদেজার লড়াকু ইনিংস দেখে একটা সময় আশায় বুক বেঁধেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটভক্তরা, যে টিম ইন্ডিয়া হয়ত ম্যাচ জিততে পারবে। কিন্তু শেষ দিকে ম্যাচ জেতানোর জন্য একটুও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেননি রবীন্দ্র জাদেজা, যার ফলে সিরাজ এবং বুমরাহ দীর্ঘক্ষণ ঠুকেঠুকে খেলার পর আউট হয়ে যান।
এবার জাদেজার ব্যাটিং নিয়েই অধিনায়ক শুভমন গিলের ওপরই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ গ্রেগ চ্যাপেল। তিনি বলছেন, ‘লর্ডস টেস্টে জাদেজা শেষদিকে অনেকটা লড়েছে। টেলেন্ডারদের নিয়ে যে কাজটা করার, জাদেজাও সেটাই করেছে। কিন্তু এমন একটা পিচে এই ইনিংসের কি আদৌ দরকার ছিল? এতটা সংযমি আর সাবধানী ইনিংস? ’।
চ্যাপেল বলছেন, ‘একটা কথা বুঝতে হবে, জাদেজাই একমাত্র ব্যাটার তখন বাকি ছিল, যে ব্যাটিং করতে জানে। তাই ভারতকে ওই রান তুলতে গেলে অঙ্ক কষেই কিছু ঝুঁকি নিতে হত। ওর কাজটা এটা ছিল না যে শুধু বল ছেড়ে দেওয়া বা সিঙ্গল নেওয়া। ওকে ম্যাচও জেতাতে হত। এবার সেই নির্দেশটা ড্রেসিংরুম থেকেই আসতে হত। ওকে সরাসরি বলা উচিত ছিল, যে তোমাকেই কাজটা শেষ করে আসতে হবে। টেলেন্ডারদের কাজ তোমায় সাপোর্ট করা, কিন্তু ম্যাচ তোমাকেই জেতাতে হবে। আমরা বেন স্টোকসকে লিডসে ২০১৯ সালে যেমন ইনিংস খেলতে দেখেছিলাম, তেমনই ইনিংস দরকার ছিল এই ম্যাচে। স্টোকস নিজে জানত, যে টেলেন্ডারদের সাপোর্ট নিয়ে ম্যাচ তাঁকে একাই জেতাতে হবে ’।
জাদেজা প্রায় তিন ঘন্টা বুমরাহ এবং সিরাজের সঙ্গে ব্যাটিং করে ৩৫ এবং ২৩ রান করে জুটিতে যোগ করেন। কিন্তু সেই রানের সৌজন্যে ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না। শেষ পর্যন্ত ২২ রান দূরে থেমে যায় ভারতের ইনিংস। বুমরাহ এবং সিরাজ মিলে মোট ৮৪ বল খেলেন। চ্যাপেলের মতে, গিলেরই উচিত ছিল স্পষ্ট করে ক্রিকেটারদের জানানো যে দল তাঁদের থেকে কি চাইছে। চ্যাপেলের কথায়, ‘এই সব পরিস্থিতিতেই গিলের ক্যাপ্টেন্সি পরীক্ষার মুখে পড়বে। ওকে আগে বুঝতে হবে ও কেমন ভারতীয় দল চায়। একজন অধিনায়কই দলের ছন্দ তৈরি করে, সেটা শুধু মুখে বলে নয়, খেলার মান বাড়িয়ে, প্রত্যেককে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে ’।