ওভালের প্রধান কিউরেটরের সঙ্গে তুমুল বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন গৌতম গম্ভীর। ঠিক কী নিয়ে যাবতীয় সংঘাতের সূত্রপাত হয়, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু ভারতীয় দলের হেড কোচ গম্ভীরকে রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়তে দেখা যায়। আঙুল তুলে ওভালের প্রধান কিউরেটর লি ফর্টিসকে উদ্দেশ্যে করে বলেন যে ‘আমাদের কী করা উচিত, সেটা আপনি বলতে আসবেন না।’ এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে ওভালের প্রধান কিউরেটর অভিযোগ দায়েরের হুঁশিয়ারি দিলে ভারতের হেড কোচ কোনওরকম পরোয়া না করেই বলেন, ‘যেখানে খুশি গিয়ে রিপোর্ট করুন।’ যদিও এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানাননি ওভালের প্রধান কিউরেটর। গম্ভীরকে খোঁচা দিয়ে তিনি দাবি করেছেন, ভারতীয় দলের হেড কোচ একটুতেই খেপে যান।
পরিস্থিতি শান্ত করতে আসরে নামতে হয় কোটাককে
আর সেই পুরো ঝামেলার ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার। বৃহস্পতিবার থেকে ওভালে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট হবে। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে হার বাঁচানোর পরে সেই ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য আজ প্রথমবার প্র্যাকটিসে নামে টিম ইন্ডিয়া। আর সেইসময় প্রধান কিউরেটরের সঙ্গে গম্ভীরের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ঝামেলা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে ভারতের ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাককে আসরে নামতে হয়।
আরও পড়ুন: প্রতি টেস্টে ৭৯৭ রান হজম ইংরেজদের, ডুবল লজ্জায়, ১ টেস্ট বাকি থাকতেই কী কী রেকর্ড?
আগুনে ঘি ঢালেন ইংরেজ, রেগে যান গম্ভীর
একটি মহলের ধারণা, পিচ পরিদর্শন নিয়ে কোনও ঝামেলা হয়। তার রেশ ধরেই গম্ভীরকে উদ্দেশ্য করে ওভালের পিচ কিউরেটর বলেন, 'আমায় এটা নিয়ে অভিযোগ করতে হবে।' আর তাতে আগুনে ঘি পড়ে যায়। রীতিমতো কড়া ভাষায় গম্ভীর বলেন, 'আপনি যান আর যা খুশি অভিযোগ করুন।'
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক T20 ম্যাচে রানরেট নাকি ২৩.৫৭! ভেঙে চুরমার সব রেকর্ড, সেরা চারে কারা?
সেই পরিস্থিতিতে কিউরেটরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান ভারতের ব্যাটিং কোচ। তিনি বলেন, 'আমরা কিছু নষ্ট করব না।' সেইসময় উদগ্রীব হয়ে তাঁদের কথোপকথন শুনতে দেখা যায় ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ মর্নি মর্কেল এবং সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতেদের। যদিও তাঁদের সেরকম কিছু বলতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: মোটে ৮ বলে ৫ উইকেট, T20-তে ইতিহাস অনামী বোলারের! বুমরাহ-রশিদেরও এমন রেকর্ড নেই
মাইন্ড গেমের চেষ্টা ইংল্যান্ডের?
আর সেই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে যে সিরিজের শেষ টেস্টের আগে কি কিউরেটরকে ব্যবহার করে ‘মাইন্ড গেম’ খেলার চেষ্টা করছে ইংল্যান্ড? ম্যাঞ্চেস্টারে একপ্রস্থ নাটক করেছে। কেন ভারত হাত মিলিয়ে খেলা শেষ করছে না, তা নিয়ে জ্ঞান দিতে থাকেন ইংরেজ খেলোয়াড়রা। তাঁদের ভাবখানা এমন ছিল যে ইংল্যান্ডই হল আইন ও স্পিরিট অফ ক্রিকেটের নির্ধারক। তাঁরা যেখানে থামবেন, সেখান থেকেই সব কিছুর সীমা টানতে হবে। তবে নিজেরা সেইসব সীমা লঙ্ঘন করলে কিছু হবে না। তখন সব খুন মাফ হয়ে যাবে।