চতুর্থ টেস্টে ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতীয় দলের সামনে এক রাশ লজ্জা অপেক্ষা করছে, যদি শেষ দুই দিনে ব্যাটাররা চমক দেখাতে না পারেন। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডের স্কোর পৌঁছেছে ৫৪৪ রানে। অর্থাৎ প্রায় ২০০ রানের কাছাকাছি লিড। ভারতীয় দলকে এই ম্যাচ যদি হারতে না হয়, তাহলে অন্ততপক্ষে ৪৫০র কাছাকাছি রান করতে হবে। অর্থাৎ ইংল্যান্ডের লিডের থেকে অন্ততপক্ষে ২০০ রান বেশি, যাতে পঞ্চম দিনে সেই রান তোলার মতো ইংল্যান্ডের হাতে সময় না থাকে। কিন্তু বাস্তবে ভারতীয় দলের পারফরমেন্স দেখে অনেকেই আশা করছেন না যে টিম ইন্ডিয়া নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ৪৫০ বা ৫০০ রান করতে পারবে বলে। আর এই ম্যাচ হারলেই টেস্ট সিরিজ হারের হ্যাটট্রিক করে ফেলবে ভারতীয় দল।
মেলবোর্নে ভারতীয় দলকে বৃষ্টি বাঁচিয়েছিল, নাহলে অজিদের হাতে আরও লজ্জা অপেক্ষা করত। কিন্তু ম্যাঞ্চেস্টারে তো বৃষ্টিরও তেমন সম্ভাবনা নেই। ফলে বাঁচাতে গেলে মূলত ব্যাটারদেরই বাঁচাতে হবে ভারতকে, যাতে ম্যাচ অন্ততপক্ষে ড্র হয়। জো রুটের শতরানের পর ভারতীয় দলের বোলার এবং ব্যাটারদের ওপর বেজায় রুষ্ট সমর্থকরা, কারণ যে পিচে ভারতীয় ব্যাটাররা রান পাচ্ছেন না, সেখানে ইংল্যান্ড কীভাবে এত রান করল? আর সব রাগই গিয়ে এখন পড়ছে গৌতম গম্ভীরের ওপর।
এই আবহেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থকরা গৌতম গম্ভীরকে তাঁর ট্যাকটিকাল সিদ্ধান্ত নিয়েই খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না। অনেকেই দাবি করেছেন, যে গৌতম গম্ভীরের নিজে থেকেই এগিয়ে এসে টেস্ট কোচিংয়ের পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত এই মূহূর্তেই, নাহলে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
আরেক ভক্তও লিখেছেন, যদি গম্ভীরের আত্মসম্মানবোধ থাকে, তাহলে ওনার পদত্যাগ করা উচিত। কেউ কেউ আবার গৌতম গম্ভীর জমানার সঙ্গে গ্রেগ চ্যাপেল জমানারও তুলনা টেনেছেন। তাঁরা আবার মনে করছেন, যেভাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, গম্ভীর এসে নিজের স্বায়ত্তশাসন কায়েম করতেই নাকি বিরাট, রোহিতকেও টেস্ট দল থেকে ছেঁটে দিয়েছেন।