গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে রাতারাতি নায়ক বনে গেছেন শশাঙ্ক সিং। হারতে বসা ম্যাচ একা হাতেই জিতিয়েছেন পঞ্জাব কিংসের এই ক্রিকেটার। ২০০ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৩ বলে অর্ধশতরান করেন ৩২ বছর বয়সি শশাঙ্ক।
অবশ্য তাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। কারণ আইপিএলের নিলামে এই শশাঙ্ককে একবার দলে নেওয়ার পর, হঠাৎই বেঁকে বসেছিলেন নেস ওয়াদিয়া, সঞ্জয় বাঙ্গাররা। দলে নেওয়ার পর চেয়েছিলেন বিড ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু সেই সময় অকশনার মল্লিকা সাগর তা হতে দেননি। এক প্রকার বাধ্য হয়েই সেই সময় তাঁকে দলে নিতে হয়েছিল পঞ্জাব কিংসকে।
সেই শশাঙ্ক সিংই শেষ পর্যন্ত ২ পয়েন্ট এনে দেন পঞ্জাবকে, তাও গুজরাটের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে।দলের বিদেশীরা ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাট করতে আসেন শশাঙ্ক। তখনও দিল্লি বহু দুর। বল কম, রান প্রয়োজন বেশি। বাধ্য হয়েই চালিয়ে খেলতে থাকেন শশাঙ্ক। একটু সেট হতেই গুজরাট বোলারদের শুরু করেন তুলোধনা করা। ২৯ বলে ৬১ রান করে দলকে জিতিয়েই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়লেন ছত্তিশগড়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা এই অলরাউন্ডার।
২০ লাখ টাকার বেস প্রাইসে তাকে দলে নিয়েছিল পঞ্জাব। ভুল ক্রিকেটার কিনে ফেলেছেন ভেবে, অনিচ্ছা সত্বেও নিলামের টেবিলে তাঁকে নিয়েছিলেন প্রীতি জিন্টারা। কারণ নিলামের নিয়ম বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একবার কোনও ক্রিকেটারকে কেনার পর ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। এই নিয়মই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল পঞ্জাবকে।
২৩৬ এবং ২৩৭ নম্বর দুই ক্রিকেটারকেই নিলামে কিনতে হয় পঞ্জাবকে। যদিও পরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পঞ্জাব কিংস বিবৃতি দিয়ে জানায়, শশাঙ্ক সিং তাদের তালিকায় ছিল। তবে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। সেদিনের জবাবটাই বোধ হয় ব্যাটে দেবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন সুযোগের। আর সুযোগ পেতেই কেল্লা ফতে। হাতের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচ একার দমেই জিতিয়ে দিলেন শশাঙ্ক।
মারকাটারি ইনিংসে ছিল ৪টি ওভারবাউন্ডারি এবং ৬টি বাউন্ডারি। এক বল বাকি থাকতেই জিতিয়ে দিলেন দলকে। তাঁর খেলা দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠান। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে পাঠান লেখেন,‘অনবদ্য শক্তির প্রদর্শন করেছেন শশাঙ্ক। তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিল পঞ্জাব’।