লর্ডসে রয়েছে WTC ফাইনাল। আর ১ দিন রয়েছে মাঝে, তারপরই সম্মুখ সমরে নেমে পড়বে অস্ট্রেলিয়া এবং দঃ আফ্রিকা, টেস্টের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লক্ষ্যে। গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দঃ আফ্রিকার এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠার তেমন কোনও সম্ভাবনা না থাকলেও পরপর নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্ট সিরিজে লজ্জাজনকভাবে হারের জন্য ভারত ছিটকে যায় টপ টু-র দৌড় থেকে। আর দঃ আফ্রিকা ঢুকে পড়ে ফাইনালের দৌড়ে। এরপর টেম্বা বাভুমার দলই ফাইনালে উঠেছে, তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামবে লর্ডসে মহারণে। এর আগে দুবারই ভারত ফাইনালে উঠেছিল, কিন্তু ইংল্যান্ডের পেস সহায়ক উইকেটে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে তাঁরা কাপ হাতছাড়া করেছিল।
লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগেই বিশাল বিতর্ক তৈরি হল। কারণ লর্ডসে ফাইনালের আগে অস্ট্রেলিয়াকে শনিবার অনুশীলনই করতে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে জানানো হয় যে ভারতীয় দলের অনুশীলন হবে সেই মাঠে, তাই অস্ট্রেলিয়ানদের প্রায় ৩ ঘন্টা দূরে অন্যত্র একটি অনুশীলনের জায়গা খুঁজতে হয়, যার জেরে বেজায় বিরক্ত ক্যাঙ্গারু বাহিনী।
লর্ডস কর্তৃপক্ষের দ্বারা অস্ট্রেলিয়াকে অনুশীলনের অনুমতি না দেওয়ার ঘটনার পর প্যাট কামিন্স ইংল্যান্ডের কঠোর সমালোচনা করলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের কয়েকদিন আগে ভারতীয় দলের অনুশীলনের জন্য লর্ডসের মাঠ খুলে দেওয়া হয়, যার ফলে অস্ট্রেলিয়া বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে। শনিবার, অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলন ব্যাহত হয় যখন তাদের জানানো হয় যে লর্ডস মাঠ অনুশীলনের জন্য দেওয়া যাবে না।
ভারত ইংল্যান্ডের মধ্যে ২০ জুন থেকে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। শনিবারের বিতর্কিত ঘটনার পর অবশ্য রবিবার অস্ট্রেলিয়াকে অনুশীলনের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজের লর্ডসে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘অ্যাশেজ সিরিজের সময় এখানে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়েছিল, কিন্তু আমি মনে করি তাদের অনেকেই শিক্ষা নিয়েছে এবং আমি নিশ্চিত তারা খুব ভদ্র এবং শান্ত থাকবে। ’ সেবার MCC সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, এবং অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে অসদাচরণের জন্য দুইজন নির্বাহী সদস্যকেও শাস্তি দেওয়া হয়েছিল করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত কারোরই বুঝতে বাকি নেই,বিষয়টির সঙ্গে ভারত বা দঃ আফ্রিকার কোনও যোগই নেই। যেহেতু ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দী দেশ ক্রিকেটে, সেই কারণেই অজিদের বিরক্ত করতেই এক প্রকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড।