রক্তে ক্রিকেট আছে, এমন খেলোয়াড়কে কে হারাতে পারে? তবে, এগুলো কেবল কথার কথা। মাঠ জিততে হলে লড়াই করতে হবে। আর এমপিএল (MPL) অর্থাৎ মহারাষ্ট্র প্রিমিয়ার লিগে বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাট কেড়ে নেওয়া খেলোয়াড় এটাই করেছিলেন। লিগে ১৮টি ছক্কা মেরে তিনি তাঁর দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। আমরা আর্শিন কুলকার্নির কথা বলছি। আর্শিন আসলে তাঁর দাদার কাছ থেকে ক্রিকেট উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। ২০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার আর্শিন কুলকার্নির দাদা একজন ফাস্ট বোলার ছিলেন।
২০২৫ সালের এমপিএলে ১৮টি ছক্কা মেরেছেন
জ্যাক কালিসকে নিজের আদর্শ মনে করেন আর্শিন কুলকার্নি। এবং তাঁর মতো একজন দুর্দান্ত অলরাউন্ডার হতে চান। ২০২৫ সালের আইপিএলে ৩০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইস দিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টস আর্শিন কুলকার্নিকে চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন। তবে, তিনি সেখানে যে দু'টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন, সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ প্রিমিয়ার লিগে, তিনি কেবল ১৮টি ছক্কাই মারেননি, বরং তাঁর দলকে চ্যাম্পিয়নও করেছেন।
রায়গড় এবং নাশিকের মধ্যে ফাইনাল লড়াই হয়েছিল
এমপিএল ২০২৫-এর শিরোপা জয়ের ম্যাচে, রায়গড় রয়্যালস মুখোমুখি হয়েছিল ঈগল নাশিক টাইটান্সের। এই ম্যাচে আর্শিন কুলকার্নি ঈগল নাশিক টাইটান্স টিমের সদস্য ছিলেন। ম্যাচটি শুরু হয়েছিল রায়গড় রয়্যালসের ব্যাটিং দিয়ে। প্রথমে ব্যাট করে তারা ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান করে। ফাইনালে রায়গড়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন সিধেশ বীর, যিনি সমগ্র এমপিএল ২০২৫-এ ৪৫০ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীও হয়েছেন।
যাইহোক ঈগল নাশিক টাইটান্সের সামনে জয়ের জন্য ১৯১ রানের লক্ষ্য ছিল। ঈগলের ইনিংস শুরু করেন আর্শিন কুলকার্নি এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মন্দার ভান্ডারি। দু'জনেই প্রথম উইকেটে ৬২ রান যোগ করেন। এর পর মন্দার আউট হন। কিন্তু, আর্শিনের আক্রমণ অব্যাহত থাকে। ফলে তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই তার অর্ধশতরান পূর্ণ করেন।
ফাইনালে আর্শিন কুলকার্নি ৭৭ রান করেন
ফাইনালে আর্শিন কুলকার্নি ১৪৫-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন এবং ৫৩ বলে ৭৭ রান করেন, যার মধ্যে ৪টি ছক্কা এবং ৫টি চার ছিল। আর্শিনের এই নির্ভীক ইনিংসের ফলে দল ৫ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে নেয় নাশিক।
১৮টি ছক্কার সাহায্যে ২৭৯ রান করেন
ফাইনালে ৭৭ রান করে আর্শিন কুলকার্নি এমপিএল ২০২৫-এ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং সর্বাধিক ছক্কা মারা ব্যাটসম্যান হয়েছেন। তিনি এমপিএল ২০২৫-এ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন, ১৮টি ছক্কার সাহায্যে ২৭৯ রান করেছেন। তার চেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল সিধেশ বীর।
বৈভব সূর্যবংশীর সঙ্গে মজা করে, ব্যাট ছিনিয়ে নেন আর্শিন
২০২৫ সালের আইপিএলে আর্শিন কুলকার্নি খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। কিন্তু বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাট ছিনিয়ে নিয়ে তাঁর সঙ্গে মজা করার ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিয়োটি লখনউ সুপার জায়ান্টস শেয়ার করেছিল।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বৈভবের ব্যাট ধরে আছেন আর্শিন। এর পর বৈভব তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তার ব্যাটটি আর্শিনের জন্য উপযুক্ত হবে না। আর্শিনেক একটি আরও বড় আকারের ব্যাট দরকার। বৈভব আরও বলে যে, এটি তার মেরামত করা ব্যাট। বৈভবের বারবার অনুরোধের পর, অবশেষে আর্শিন তাকে তার ব্যাটটি দিয়ে দেন।