সাধারণত মুখ গম্ভীরই থাকে আন্দ্রে রাসেলের। কিন্তু নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে রাসেলের মুখে প্রায় সারাক্ষণ দেখা যাচ্ছিল হাসি। তাঁর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সতীর্থরা অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গেই গার্ড অফ অনার দিলেন ড্রে রাসকে। এটাই ছিল ক্যারিবিয়ানদের জার্সিতে রাসেলের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যদিও তাঁর দল ম্যাচ জিততে পারল না।
১৪তম ওভারে রাসেল যখন খেলতে এসেছিলেন তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৫ উইকেটে ৯৮। ফলে রাসেল কাজটা বেশ কঠিনই ছিল। কিন্তু নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচেও তিনি বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে নাইট রাইডার্স এত বছর ধরে দলে রেখেছে। বেন ডোয়ারসুইশের বোলিংয়ে পরের ওভারেই তিনটি ছয় মারেন রাসেল। প্রথমটা ফ্ল্যাট চলে যায়, যা সাইডস্ক্রিনে ফুটো করে দল। শটে এতটাই জোর ছিল। এরপর বল আটকে যাওয়ায় খেলা বন্ধও থাকে। গ্রাউন্ড স্টাফরা এসে বল বের করে, টিম ডেভিডও তাঁদের একটু সাহায্য করেন আর কি।
১৬তম ওভারেই রাসেল একটি চার এবং একটি ছয় মারেন অ্যাডাম জাম্পার বোলিংয়ে। রাসেলের ব্যাটিং দেখে ততক্ষণে ক্যারিবিয়ান ডাগআউট অপেক্ষা করছিল রূপকথার গল্পের। যদিও তেমন কিছু হয়নি। নাথান এলিসের বোলিংয়ের এরপর রাসেল একটি চারও মারেন বটে। কিন্তু তারপর সেই এলিসেরই স্লো একটি ডেলিভারিতে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন তিনি। রাসেলের ইনিংস শেষ হয় ১৫ বলে ৩৬ রানে। অজি ক্রিকেটাররাও এগিয়ে আসে রাসেলের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে।
রাসেল ইনিংসের মাঝে বলছিলেন, ‘শুধু হেরে শেষ করতে চাই না, এটা আমার জন্য শুধু নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্যেও খুব জরুরি। জয় দিয়েই আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ করতে চাই। আমি যখন শেষবার খেলতে নামলাম, একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু নিজের কাজে ফোকাস করেছি, ইতিবাচকভাবেই ব্যাটিং করেছি ’। যদিও রাসেলের ইচ্ছাপূরণ হয়নি। কারণ জোশ ইংলিস এবং ক্যামেরন গ্রিনের দুরন্ত ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১৫.২ ওভারেই জয়ের জন্য ১৭২ রানের টার্গেটে পৌঁছে যায়। বল হাতে রাসেল এক ওভারে ১৬ রান দেন, কোনও উইকেট পাননি এদিন।