ভারতীয় দলের সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার বেশ আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খারাপ পারফরমেন্স চললেও দ্রুত বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা রানের মধ্যে ফিরবেন। দলের দুই তারকা ব্যাটারই বর্তমানে চলছেন রানের খরার মধ্যে দিয়ে। যাও বা বিরাট একটা শতরান করেছেন, রোহিত তো অর্ধশতরানই পাচ্ছেন না কতদিন হয়ে গেল।
আরও পড়ুন-‘আমি কখনও আগে দ্রাবিড়কে এমন উচ্ছাস করতে দেখিনি,আমার জন্যই’! কোন রহস্য ফাঁস অশ্বিনের
রোহিত-বিরাটের ফর্মে চিন্তা-
রোহিত শর্মা শেষ ১৩টি ইনিংসে করেছেন মাত্র ১৫২ রান, সেখানে বিরাট কোহলি গত ১৫ ইনিংসে দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব্ব স্কোর করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে একটি শতরান। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচের মতে, একটু ধৈর্য্য আর আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন রয়েছে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির, তাহলেই তাঁরা নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরতে পারবেন।
Video-ফের ল্যাবুশানের সঙ্গে বেল নিয়ে তুকতাক সিরাজের! কাজে এল! তবে এবার আউট খোয়াজা
বিরাট-রোহিতকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নায়ার-
অভিষেক নায়ার বলছেন, ‘আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি, আত্মবিশ্বাসই ভালো শুরু দিতে সাহায্য করে। সেটা পেয়ে গেলেই, খেলা বদলে যায়। আমার মনে হয় বিরাট, রোহিত যে ধরণের ক্রিকেটার, ওরা ২৫-৩০টা বল খেলে নিলেই ওদের আত্মবিশ্বাস ফিরবে, সঙ্গে চেনা ফর্মও ফিরবে। রোহিত যেমন বলেছে, কোনও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিয়ে যখন কথা বলছ, তখন তাঁদের ফোকাস আর গেম প্ল্যানে নজর দিতে হয়। প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই একটা দুর্বলতা থাকে। কোনও না কোনও ভাবে তো আউট হবেই ক্রিকেটার, কিন্তু সেই ব্যাটারকে প্ল্যান করতে হয়, কোন জোন থেকে রানটা করবে ’।
গিলের বাদ যাওয়া প্রসঙ্গে-
ভারতীয় দল মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টে খেলায়নি দলের টপ অর্ডার ব্যাটার শুভমন গিলকে। যদিও তাঁকে বসানো হয়েছে মানছেন না নায়ার। বরং অভিষেকের মতে, ‘আমরা পিচ দেখে যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি, যে ওয়াসিংটন সুন্দরের থাকা আমাদের বোলিংকে সমৃদ্ধ করবে, ওর বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে। বিশেষ করে যখন বল পুরনো হতে থাকবে। ওই জায়গাটা আমাদের শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। আমার মনে হয় ওয়াশি এবং জাড্ডু ওই জায়গায় আমাদের সমৃদ্ধ করতে পারবে। বিশেষ করে যেভাবে অ্যালেক্স ক্যারি আর ট্র্যাভিস হেড লোয়ার অর্ডারে রান করে যাচ্ছে ’।
কনস্টাসের প্রশংসায় নায়ার-
ম্যাচে স্যাম কনস্টাসের সঙ্গে বিরাট কোহলির একটা বিতর্কিত ঘটনা ঘটলেও অজি ওপেনারকে প্রশংসায় ভরাচ্ছেন অভিষেক নায়ার। তিনি বলছেন, ‘স্যাম যেভাবে খেলছে তাতে ওকে ক্রেডিট দিতে হবে। যেভাবে ও শুরু থেকে চাপে রেখেছিল, তাতে আমাদের শুরুতে ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের বোলারদেরও ভালোভাবে ফিরে এসেছে, সেটাও দেখার মতো। এখানে বোলিং করা সহজ ছিল না, ব্যাটিং করতে সুবিধাই হয়েছে ওদের। আমার মনে হয় লাঞ্চের পর আমরা খুব ভালোভাবে ফিরে এসেছি, ওদের ওপর চাপে ফেলেছি। যেভাবে দিনটা শেষ হয়েছে তাতে আমরা খুশি ’। প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৬ উইকেটে ৩১১।