রাজ্যে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা ভোটার তালিতার বিশেষ নিবিড় সংশোধন শুরু হবে শীঘ্রই। সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ধারাবাহিক ভাবে। এরই মাঝে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের আবেদনপত্র ছাপানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে বললেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ১৫ কোটি এসআইআর ফর্ম ছাপানো হবে রাজ্যে। অর্থাৎ, মোট ভোটার সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। জানা গিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিটি ভোটারের নাম-সহ তথ্য দেওয়া ফর্ম অনলাইনে আসবে। সেই সব ফর্ম এলেই ছাপানোর কাজ শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজকুমার আগরওয়াল রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেন। রাজ্যের প্রায় ৪ হাজার সরকারি আধিকারিক যোগ দেন এই প্রশিক্ষণে। ছিলেন ইআরও, এইআরও, এডিএম এবং কয়েক জন ডিএম। এদিকে পুজো আগেই এসআইআর নিয়ে রাজ্যের ৭৫ হাজার বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। আগামী ২১-২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই প্রশিক্ষণের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
আগামী দিনে রাজ্য জুড়ে সহকারী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিকদের (ইআরও) প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই আধিকারিকরা তখন বিএলওদের প্রশিক্ষণ দেবেন, যারা তৃণমূল স্তরে সরাসরি ভোটারদের কাছে পৌঁছে যাবেন। এডিএম এবং ইআরও-দের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর বিএলও-রা এসআইআর প্রচারাভিযান শুরু করবেন। সেই সময় ভোটারদের প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণে কীভাবে সহায়তা করবেন, সে সম্পর্কে বিএলও-দের নির্দেশ দেওয়া হবে প্রশিক্ষণে। বিএলও-রা রাজ্যের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য যাচাই করবেন এবং যথাযথ নথি রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সারা দেশে ভোটার তালিকা আরও নির্ভুল করার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) 'বিহার মডেল' গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কমিশন সম্প্রতি সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (সিইও) সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিটি রাজ্যকেই তাদের আগের স্পেশাল ইনটেসিভ রিভিশন তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এই আবহে শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশেই হবে এসআইআর। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অক্টোবর থেকেই গোটা দেশে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে সব রাজ্যকে।