
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
আজ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উদযাপন হচ্ছে সারা বাংলা জুড়ে। তবে ভরকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত দেশপ্রিয় পার্ক। কারণ সেখানে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবং তারকা গায়ক–গায়িকারা। আর এখান থেকেই বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি সকলেরই জানা। কিন্তু সেটা তো অন্য দেশ। তাই তা নিয়ে মন্তব্য করতে চান না তিনি। তবে নানা ভাষা নিয়ে আছে এই দেশ ভারতবর্ষ। তাই প্রত্যেক ভাষাকেই যে সম্মান করা উচিত তা মনে করিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধুমাত্র নিজের দেশের কথাই বলতে চান। আজ শুক্রবার, কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে, রাজ্য সরকার আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই বার্তাই দিলেন।
১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন গড়ে ওঠে। রক্তাক্ত হয়ে ওঠে ওই আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন যে এমন পর্যায়ে যেতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। কিন্তু ওই ভাষা আন্দোলনের জেরেই মারা যান পাঁচজন তরুণ। আর তাঁদের স্মরণেই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রত্যেক বছরের মতো এবারও ঢাকার ভাষা শহিদ মিনারে অনুষ্ঠান হলেও তাল কেটে গিয়েছে। কারণ এবার আর পেট্রাপোল–বেনাপোল এক জায়গায় আসতে পারেনি। শহিদ বেদিতে একসঙ্গে শ্রদ্ধা জানানো গেল না। ওদিকে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন থাকাকালীন সেখানে ছিলেন না অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। এই নিয়ে চলছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন: সোদপুরের মাঠ থেকে উদ্ধার মানুষের খুলি, খুন করে কি পোঁতা হয়েছিল? তদন্তে পুলিশ
বাংলাদেশের ওই অশান্তির পরিবেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি নন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দেশপ্রিয় পার্কের অনুষ্ঠানে তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য কোনও দেশ নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি আমাদের দেশ নিয়ে শুধু বলব।’ প্রয়াত সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়েও শোকজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সংযোজন, ‘দু’দিন কথা বলছিলেন না। প্রতুল দার মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা আগে চোখ জলে ভরে গেল। আমি বললাম আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে। গাইতে হবে। উনি হাত তুলে বললেন আর গাইতে পারব না। ক্ষীণ আশা ছিল হয়তো সংকট কাটিয়ে উঠবেন। ওইটুকুই কথা হয়। প্রতুল দা ছাড়া ভাষা দিবস পালন করা সম্ভব নয়। আমার মনটা বলছিল প্রতুল দা বোধহয় এবার থাকতে পারবেন না। তাই সব ব্যবস্থা আগে করে রেখেছিলাম। প্রতুল দা আমাদের মধ্যেই থাকবেন সারাজীবন।’
এখন অন্য ভাষা বনাম বাংলা ভাষার নানা তুলনা অনেকে টেনে থাকেন। তার উপর কেন্দ্রীয় সরকার হিন্দি ভাষার উপর বেশি জোর দিচ্ছে। সব রাজ্যের উপর তা চাপিয়ে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এবার সেসব প্রসঙ্গ উত্থাপন না করেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘এই রাজ্যে বাংলা ছাড়াও আরও অনেক ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভাষা কারোর কেনা নয়। কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। যে যে ভাষায় কথা বলেন সেটাই তাঁর মাতৃভাষা। নিজের মাতৃভাষা নিয়ে সবারই সেন্টিমেন্ট আছে। এই আবেগকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তাই অলচিকি, কুরমালি, রাজবংশী, কামতাপুরী–সহ বিভিন্ন ভাষাকে আমাদের সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘অনেক দেশেই বাংলা ভাষায় মানুষ কথা বলেন। এই ভাষায় কথা বলার নিরিখে বাংলা বিশ্বে পঞ্চম স্থানে এবং এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে আছে। আজকের দিনে আমরা সকল ভাষাভাষিদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই। অন্য দেশ সম্পর্কে আমি বলব না। আমি নিজেদের দেশ সম্পর্কে বলবো।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports