গুজরাটের মৌরবি সেতু ভেঙে পড়ে শতাধিক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আর তারপরই এই রাজ্যের সেতুগুলি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন। তাই পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। এমনকী তার রিপোর্ট নভেম্বর মাসের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী পুলক রায়। আবার পূর্ত দফতর ছাড়াও অন্যান্য দফতরের অধীনেও বহু সেতু রয়েছে। সেই সমস্ত সেতুরও স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে।
আধিকারিকদের ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? এই সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিয়ে মন্ত্রী দফতরের অফিসারদের জানান, রাজ্যে পূর্ত দফতরের অধীনে ২,১০৯টি সেতু রয়েছে। সেই সব সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে দেখা হবে। এমনকী চালানো হবে সমীক্ষাও। সব সেতুর পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দফতর। দ্রুত সেই কাজ করে চলতি মাসেই একটি রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছেন তিনি। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে দফতর। কোনও সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করার প্রয়োজন থাকলে সেটাও করা হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্যের সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে নবান্নে বৈঠক ডেকেছিল পূর্তদফতর। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, পূর্ত দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। আর ভার্চুয়ালি যোগ দেন জেলার ইঞ্জিনিয়ার ও বিভাগীয় প্রধানরা। এই বৈঠকে উঠে আসে নতুন করে দু’টি সেতু তৈরির কথা। এক, মেদিনীপুরের কংসাবতী নদীর উপরে থাকা বীরেন্দ্র শাসমল সেতু। সেতুটির টেন্ডার পাশ হয়ে গিয়েছে। দুই, উত্তরবঙ্গের সেবক সেতু বা করোনেশন ব্রিজ। এটির টেন্ডার পাশ হয়নি এখনও। আগামী ১৮ নভেম্বর টেন্ডার ডাকার কথা আছে।