মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রত্যেকটি প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়েছে এবং কর্মসংস্থানের দিশা দিয়েছে। বিরোধীরা এসবের সমালোচনা করলেও আসলে তাদের ডবল ইঞ্জিনের সরকার যে সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে সে বার্তা এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। এটা যত হবে তত কেন্দ্রীয় সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
টুইট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যে বাজেট দেখে চমকে যাবেন অনেকে বলে মন্তব্য করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের উন্নয়নে কেমন করে কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হয় তা দেখা গিয়েছে রাজ্য বাজেটে বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ এই বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আরও ৪ শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘভাতা ঘোষণা করা হয়েছে। এবার গোটা বাজেটটি নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মতামত প্রকাশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে একশো দিনের টাকা, গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা, আবাস যোজনার টাকা, শিক্ষা খাতের টাকা, স্বাস্থ্য মিশনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বকেয়া আদায় করার জন্য আন্দোলন করেছেন অভিষেক। নয়াদিল্লি গিয়ে সেই আন্দোলন করতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেছিলেন। সেই ছবি দেখেছে গোটা বাংলা। এবার যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে দেবেন ঘোষণা করেন তখন কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন অভিষেক। আর আজ যখন সেটা বাজেটের মাধ্যমে বাস্তাবায়িত হতে চলেছে তখন অভিষেক স্বনির্ভরতার পথে হাঁটছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বলে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিলেন।
অন্যদিকে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রত্যেকটি প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়েছে এবং কর্মসংস্থানের দিশা দিয়েছে। বিরোধীরা এসবের সমালোচনা করলেও আসলে তাদের ডবল ইঞ্জিনের সরকার যে সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে সেই বার্তাও এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘বাংলার মা–বোন ও গরিবের হাত শক্ত করা হয়েছে। আমরা নিজেদের পথে এগিয়ে চলেছি স্বনির্ভর বাংলা গড়ার জন্য।’ অর্থাৎ কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে স্বনির্ভরতার পথে হাঁটার পক্ষেই সওয়াল করেছেন অভিষেক। এটা যত হবে তত কেন্দ্রীয় সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া আবাস যোজনার ক্ষেত্রে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একমাস অপেক্ষা করার পর এই কাজও রাজ্য সরকার করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট, ‘স্বনির্ভর হওয়ার পথে হাঁটছে বাংলা। রাজ্যের মা, বোন ও গরিবদের হাত শক্ত করে স্বনির্ভর বাংলার পথে এগিয়ে চলেছি আমরা। বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তহবিল বৃদ্ধি থেকে কর্মশ্রী চালু, সকলের উন্নতিকে নিশ্চিত করবে। ডবল ইঞ্জিনের চেয়ে সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার অনেক বেশি শক্তিশালী।’