ঠিক তার ১০ দিন পরে হঠাৎ পরিবেশ দফতরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে। অর্থাৎ প্রধান সচিব যেমন দায়ী তেমন এই ঘটনার দায় মন্ত্রীও এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই এমন কোপ পড়ল বলে নবান্ন সূত্রে খবর। আর মুখ্যমন্ত্রী পরিবেশ দফতর নিজের হাতে রাখলেন। ‘ছবি–কাণ্ড’ নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
মানস ভুঁইয়া
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় সদ্য একটি রদবদল হয়েছে। সেখানে দেখা গেল, মানস ভুঁইয়ার হাত থেকে সরিয়ে নেওয়া হল রাজ্যের পরিবেশ দফতর। তিনি এই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। এখন অবশ্য তিনি শুধু জলসম্পদ দফতরের মন্ত্রী। কিন্তু বিষয়টি হল কেন মানসের উপর কোপ পড়ল? রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এখন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ফলে সেদিকেই এখন নজর সকলের। তবে তার মধ্যেও এই দফতর হাতছাড়ার বিষয়টি উঁকি দিচ্ছে। তাই চর্চাও হচ্ছে।
যেদিন বিশ্ব পরিবেশ দিবস ছিল সেদিন একটি ঘটনা ঘটেছিল। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দ্বারা আয়োজিত পরিবেশ দিবসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ছবি ছিল না। যা মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ শোনা গিয়েছিল মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার মধ্যে। কারণ সেখানে লাগানো এলইডি স্ক্রিন থেকে ব্যানার কোথাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী ছবি নেই কেন? বলে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। তখন ৫ জুন নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে পিন পড়ার নীরবতা দেখা দিয়েছিল।