এই মুহূর্তে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় করা খবর হল, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনে আমন্ত্রিত সিপিআইএম–কংগ্রেস। শুধু বাদ গেল বিজেপি। এই খবর চাউর হতেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনে সিপিআইএম–কংগ্রেস আমন্ত্রিত কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী বিজেপি বাদ রইল কেন?এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। একুশের নির্বাচনে সিপিআইএম–কংগ্রেস শূন্য হাতেই ফিরেছে। তার পরেও সিপিআইএম–কংগ্রেস আমন্ত্রণ পেল! তাহলে বিজেপি পেল না কেন? উত্তর মেলেনি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তবে এসইউসিআই দলটিও আমন্ত্রণ পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। কাদেরকে ফোন করা হয়েছিল? সূত্রের খবর, প্রথম ফোনটি যায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কাছে। যদিও তিনি তখন সেখানে ছিলেন না। পরে আবার একবার ফোন করা হবে আজকে। কংগ্রেসের সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে ফোন করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। তিনি অধিবেশন চলছে বলে আসতে পারবেন না। তবে এই শহরে থাকলে আসতেন বলে জানিয়েছেন।আগামীকাল, বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন। সেখানে কেন এই তিন বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ করা হল? সূত্রের খবর, ক্ষমতায় থাকা শাসকদল দেখাতে চায় তাদের দলের নির্বাচন কতটা স্বচ্ছ। তাই এই আমন্ত্রণ। যদিও এই বিষয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচন আবার কী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো চেয়ারপার্সন হবেন। ওদের সাংগঠনিক নির্বাচন শুনলে মনে হয় আরশোলাও পাখি।’