রাজারাম রেগে গ্রেফতার হওয়ার পর সেই ঢেউ কলকাতায় আছড়ে পড়বে এমন একটা চিন্তা করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। আর আজ, মঙ্গলবার রাজভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি চিঠি পেল গভর্ণর হাউজ থেকে শুরু করে ভারতীয় জাদুঘর। এমনকী একাধিক সরকারি কার্যালয় ও দ্রষ্টব্য স্থানে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে বলেও হুমকি দিয়ে ইমেল করা হয়েছে। হুমকি ইমেল কোথা থেকে এল? কে পাঠাল? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করল লালবাজার। এইসব জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হবে বলে হুমকি ইমেলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজারাম রেগের গ্রেফতার হওয়ার কোনও যোগ আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে আজ, মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় একই সময়ে রাজভবন, কলকাতা জাদুঘর এবং নানা সরকারি দফতরে এই হুমকি ইমেল আসে। সেই ইমেলে দাবি করা হয়েছে, রাজভবন, জাদুঘরে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিপুল পরিমাণ মানুষের প্রাণহানি করা হবে। নাশকতার হুমকি দিয়ে ইমেল মেলার পর ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে মহানগরী জুড়ে। রাজভবন, ভারতীয় জাদুঘর এবং আরও কয়েকটি সরকারি অফিসে বোমা রাখার দাবি করা হয় ওই ইমেলে। ‘টেরোরাইজার ১১১’ নাম দিয়ে নিজেদের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী বলে দাবি করা হয়েছে ওই ইমেলে।
আরও পড়ুন: ‘এটা উত্তরপ্রদেশ হলে উলটো করে টাঙিয়ে দিতাম’, রামনবমীর হিংসা নিয়ে যোগীর হুঙ্কার
অন্যদিকে সদ্য ২৬/১১ হামলার জঙ্গি রাজারাম রেগে কলকাতায় এসে রেইকি করে যায়। তাঁর নিশানায় ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে হত্যা করার ছক কষেছিল রাজারাম বলে পুলিশের দাবি। তাই রাজারাম রেগেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। আর তার ঠিক কদিন পরেই এই হুমকি ইমেল লালবাজারের পুলিশ কর্তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এই হুমকি ইমেলের খবর পেয়েই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজভবন, ভারতীয় যাদুঘরে পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি শুরু করা হয়। নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। আর কোন আইপি অ্যাড্রেস থেকে এই হুমকি ইমেল পাঠানো হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।