রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গত শুক্রবার বলেছিলেন, ‘নিউ টাউন পঞ্চায়েত এলাকার অধীনে থাকা উচিত নয়। নিউ টাউন এখন একটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে। আমি এই বিষয়ে পঞ্চায়েত বিভাগের মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি এবং আমরা বিধানসভায় একটি বিল আনার পরিকল্পনা করছি।’
নিউ টাউন। ফাইল ছবি
এবার পুরসভার আওতায় আসতে চলেছে নিউ টাউন। এর জন্য পৃথক নিউ টাউন পুরসভা করার পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী সপ্তাহে রাজ্য বাজেট অধিবেশনে একটি বিল উত্থাপন করা হতে পারে। সেখানে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আইন ২০০৭ সংশোধন করা হবে। যদিও এই বিলটি পুরসভার অধীনে আনা হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে এরজন্য কিছুটা সময় লাগবে। কারণ এতে ওয়ার্ড গঠন সহ বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া জড়িত।
প্রসঙ্গত, নিউ টাউনের একটি বিশাল এলাকা জ্যাংরা হাতিয়ারা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে। এপ্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, জ্যাংরা-হাতিয়ারা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে নিউ টাউনের একটি বিশাল এলাকা নিয়ে আসা একটি ভুল ছিল। এটি কাম্য নয়। কারণ পঞ্চায়েত বিভাগ এবং নগর উন্নয়ন বিভাগের অধীনে থাকার ফলে একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষের মধ্যে এই ধরনের দ্বৈত প্রশাসন থাকার ফলে বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, পৃথক পুরসভা না হওয়া পর্যন্ত আগামী দিনে নগর উন্নয়ন বিভাগ এবং পঞ্চায়েত বিভাগ যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।