সামনেই ২১শে ফেব্রুয়ারি। এদিকে কলকাতার বুকে যাতে বেঁচে থাকে বাংলা ভাষা সেকারণে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুর এলাকায় সমস্ত সাইনবোর্ডে বাংলা ভাষায় নাম লেখার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।আর তারই অঙ্গ হিসাবে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এবার কলকাতা পুরসভার একাধিক মেয়র পারিষদ তাঁদের অফিসের বাইরের নামফলক বাংলায় লেখার উদ্যোগ নিয়েছেন। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, অভিজিৎ মুখোপাধ্য়ায়, সন্দীপ বক্সি, সন্দীপন সাহা সহ একাধিক মেয়র পারিষদ তাঁদের ঘরের বাইরের নামফলকে বাংলায় নাম লেখা শুরু করেছেন। সেখানে ইংরেজিতেও নাম লেখা হচ্ছে। আগের মতোই সেই ইংরেজিতে লেখা নামফলক থাকছে। সেই সঙ্গেই বাংলায় লেখা নামফলকও থাকছে।
এমনকী মেয়র পারিষদ তারক সিংয়ের দফতরের বাইরেও নামফলক বাংলায় লেখা হচ্ছে। বাংলা ভাষাকে শ্রদ্ধা জানিয়েই এই উদ্যোগ নিচ্ছেন মেয়র পারিষদরা। এমনকী অবাঙালি যে সমস্ত মেয়র পারিষদ রয়েছেন তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বাংলায় নামফলক লেখার কাজ শুরু করেছেন। ধাপে ধাপে কলকাতা পুরসভায় বিভিন্ন মেয়র পারিষদদের নামফলক বাংলায় লেখা হতে পারে বলে খবর।
তবে মেয়র পারিষদদের এই উদ্যোগকে কার্যত সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁদের এই উদ্যোগ। এদিকে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
এদিকে বাসিন্দাদের একাংশের মতে, কলকাতার বহু জায়গা রয়েছে যেখানে কার্যত বাংলা ভাষার প্রচলন অত্যন্ত কম। বহু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা পারতপক্ষে বাংলা ভাষাকে এড়িয়ে চলেন। তবে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে কিছুটা হলেও বাংলা ফিরবে কলকাতায়।
এদিকে ইতিমধ্যেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, আগে বড় করে বাংলায় সাইনবোর্ড লিখুন। তারপর যাঁর যা ভাষা পছন্দ সেটা হিন্দি উর্দু কিংবা ইংরেজিতে লিখতে পারেন। তবে বাংলা ভাষাকে আগে গুরুত্ব দিন।
এদিকে বাম জমানাতেও একটা সময় বাংলায় সাইনবোর্ড লেখার ব্যাপারে অনুরোধ করে নানা অনুরোধ করা হত। কিন্তু সেসব বিশেষ ধোপে টেকেনি। আবার বাংলাপ্রেমী একাধিক সংগঠনও এনিয়ে বার বার দাবি করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত কলকাতার কতগুলি সাইনবোর্ড বাংলায় লেখা হয়েছে তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে।
সম্প্রতি সাইনবোর্ডে উর্দু ভাষার আধিক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বাংলায় কেন বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড থাকবে না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।