কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বা হেরিটেজ ভবনের সামনে এবার বসানো হবে কিউআর কোড যুক্ত বোর্ড। আর কোড মোবাইলে স্ক্যান করলেই জানা যাবে ইতিহাসের তথ্য। অর্থাৎ ভবনটি কে গড়েছিলেন, কেনই বা তা বিশেষ, কীভাবে আজও শহরের স্মৃতি হয়ে টিকে আছে? সবকিছুই জানা যাবে মুহূর্তে। কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার এই নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পুরসভার মাসিক অধিবেশনে।
আরও পড়ুন: কলকাতার গ্রেড ওয়ান তালিকাভুক্ত হেরিটেজ ভবন চত্বরে বহুতল তৈরির প্রস্তাব, বিতর্ক
৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-র প্রশ্নের উত্তরে স্বপনবাবু জানান, শহরে বর্তমানে ১,৩৯২টি হেরিটেজ ভবনের অস্তিত্ব রয়েছে। এর মধ্যে ৭১৭টি ভবন গ্রেড-ওয়ান শ্রেণিভুক্ত। ইতিমধ্যেই এই গ্রেড-ওয়ান ভবনগুলিতে নীল ফলক বসানো হয়েছে চিহ্ন হিসেবে। এবার সেই ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক এবং তথ্যসমৃদ্ধ করতে কিউআর কোড বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তাঁর কথায়, যাতে পথচলতি মানুষ বা পর্যটক যেই হোন না কেন, মোবাইল দিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করলেই ওই হেরিটেজের বিস্তারিত ইতিহাস, স্থাপত্যের ধরণ, গুরুত্ব জেনে নিতে পারেন।
তবে শুধু নতুন প্রযুক্তি নয়, পুরনো দিকটাও গুরুত্ব পাচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বহু হেরিটেজ ভবনের পাশে আগে থেকেই বসানো ছিল তথ্যসম্বলিত বোর্ড। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলি এখন ধুলো-ময়লায় ঢেকে গিয়েছে । কোথাও কোথাও ভেঙেও পড়েছে কিংবা রং মুছে অস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সেই সমস্ত বোর্ডকেও সংস্কার করা হবে। নতুন করে রঙের কাজ করা হবে এবং তাদেরও কিউআর কোড সংযোজনের মাধ্যমে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলা হবে। পুরসভার এই উদ্যোগ শুধু শহরের ঐতিহ্যকে জনসমক্ষে আরও সহজে তুলে ধরার একটি পদক্ষেপ নয়, বরং এটি একপ্রকার ‘ডিজিটাল হেরিটেজ আর্কাইভ’ গড়ে তোলারও সূচনা বলে মনে করছেন অনেকেই। এরফলে সকলেই উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।