খামখেয়ালি আবহাওয়া এবং মুদ্রাস্ফীতির জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত জিনিসেরই দাম বাড়ছে। আলু, মাছ, ফল, শাক–সবজি সবকিছুরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। তারই মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের আগে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে কমল মুরগির মাংসের দাম। রাজ্যে পোল্ট্রি মুরগির দাম এক লাফে প্রায় ১০০ টাকা কমতেই বঙ্গবাসীর মুখে হাসি ফুটল বলে মনে করা হচ্ছে। খাস কলকাতার বাজারে মুরগির মাংসের দামে একলাফে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কমল। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ জিনিসপত্রের দাম কমাতে বাজারে বাজারে নেমেছে টাস্ক ফোর্স। সেখানে একধাক্কায় মুরগির মাংসের দাম কমে যাওয়ায় গৃহস্থদের মুখে হাসি ফুটেছে।
এদিকে গত ১০ দিনে স্কিন ছাড়া মুরগির মাংসের দাম কেজি প্রতি কমেছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দাম কমেছে স্কিন–সহ চিকেনেরও। বার্ড ফ্লু নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল বাজারে। এমনকী পার্ক সার্কাস নার্সিংহোমে মুরগির মাংস খেয়ে ৬ জন অসুস্থ হয়েছিল কিছুদিন আগে। তখন থেকেই নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আর তার জেরেই রাজ্যে পোল্ট্রি মুরগির দাম হঠাৎ করেই কমে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই আবহে মুরগির মাংসের দাম কমে যাওয়ায় এখন দেদার তা বিক্রি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুরগির মাংসের দাম কমলে পোলট্রি ডিমের দামও কমতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি একতরফা সিদ্ধান্ত, আসুক বাংলা ভাগ করতে’, চ্যালেঞ্জ মমতার
অন্যদিকে স্কিম–সহ মুরগির মাংসের দাম কমেছে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তার ফলে বড় স্বস্তি মিলেছে চিকেন রসিকদের। গরম কমে যাওয়া এবং শ্রাবণ মাস শুরু হওয়ায় বেশ কিছু সম্প্রদায় নিরামিষ খাবার খেয়ে থাকেন। তার উপর আগামী কয়েক সপ্তাহে বড় কোনও উত্সব বা পার্বণ নেই। তাই চিকেনের দাম উর্দ্ধমুখী থাকলে মানুষ কিনবেন না। তাছাড়া দাম বেশি হলে মধ্যবিত্ত মানুষজন সমস্যায় পড়েন কিনতে। এখন দাম বেশি থাকলে টাস্ক ফোর্সের নজরেও তা পড়বে। সবদিক বিবেচনা করেই রেকর্ড পতন হল মুরগির মাংসের দামে।