চাকরিহারাদের আন্দোলনে প্রথম থেকেই একেবারে প্রথম সারিতে ছিলেন কয়েকজন। তার মধ্য়ে অন্যতম চিন্ময় মণ্ডল। কিছুদিন আগে এসএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায়, কিংবা রাতভর ধরনায় একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন চিন্ময় মণ্ডল। কিন্তু দেখা যায় ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকায় সেই চিন্ময় মণ্ডলের নাম নেই। এরপরই চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। যিনি আন্দোলনের মুখ তারই নাম নেই যোগ্যদের তালিকায়?
এবার সোমবার তিনি সোশ্য়াল মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছেন, আনটেইনটেড যেসব শিক্ষক শিক্ষিকাদের নাম ভুলবশত ছিল না তাদের নাম আসতে শুরু করেছে। আমার নাম আছে, স্যালারি সাবমিট হচ্ছে। তিনি এই পোস্ট করার পরেই চাকিরহারা শিক্ষকরা কার্যত স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকেই লিখছেন ভালো খবর।
তবে এদিন যে সমস্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ হাজরা মোড় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁদের কয়েকজন অবশ্য় দাবি করেন চিন্ময় মণ্ডলের নাম রয়েছে তালিকায়। কোন পথে এই নাম এল তা নিয়ে তাঁরা নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন তাঁরা।
প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরিহারা। সব মিলিয়ে ১৫ হাজার ৪০৩ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকাই ডিআই অফিসে পাঠানো হয়। আর সেই তালিকায় দেখা যায় চিন্ময় মণ্ডলের নাম নেই। সেই সময় চাকরিহারাদের তরফে দাবি করা হয় কিছু হয়তো ভুল হয়েছে। সেই সময় বলা হয়েছিল সার্ভারের সমস্যার কারণে অনেক শিক্ষক যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নাম যোগ্যদের তালিকায় নেই।
তবে এবার চিন্ময় মণ্ডলের নাম যুক্ত হল যোগ্যদের তালিকায়। তিনি স্কুলে যেতে পারবেন। তিনি বেতনও পাবেন। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
চিন্ময় মণ্ডল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় জানালেন নতুন সমস্যার কথা। তিনি বলেন, নন জয়েনড বলে কিছু নাম আছে। সেখানেই আমাদের নাম ছিল। তবে এবার সেটা সংশোধন করা হয়েছে। তবে এখনও ৩০-৩৫৩৫জন শিক্ষকের নাম আসেনি। কিছুজনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে স্কুলে তাঁরা পড়াচ্ছেন তাদের নাম দেখাচ্ছে অন্য স্কুলে। আবার কয়েকজনের ক্ষেত্রে আগে যিনি জয়েন করেছেন তাঁর নাম রয়েছে কিন্তু পরের জনের নাম পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা যতটা সম্ভব তালিকা তৈরি করে শিক্ষা দফতর ও চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাচ্ছি।
তিনি জানিয়েছেন, সামনেই গরমের ছুটি। সেক্ষেত্রে যারা জয়েন করতে পারলেন না তাঁরা অত্যন্ত চিন্তায় পড়ে যাবেন।