পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার আবহে সীমান্তে তৎপর হয়েছে ভারতীয় সেনা। চলছে জঙ্গি নিধন অভিযান। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। ভারতে থাকা পাক নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে সেই দেশে পাঠানোর নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে। সেই আবহে ‘পাকিস্তানি ভাই’-র পর এবার নদিয়ার অন্য যুবকের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লিখে পোস্ট করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি শান্তিপুরের। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিয়ে কুমন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হলে তাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর করা হবে।
আরও পড়ুন: জঙ্গি হানার আবহে ওয়াকফ নিয়ে মিছিলে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান? বিক্ষোভ BJPর
জানা গিয়েছে, ওই যুবক সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। তাতে লেখা রয়েছে, ‘সীমান্ত থেকে ভারতীয় সেনারা পালিয়ে এসেছে। চীন ভারতের সঙ্গে রয়েছে।’ আর একেবারে নিচে লেখা রয়েছে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ।’ এই ফেসবুক পোস্ট ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এরপরেই স্থানীয় মানুষজন শান্তিপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। এমনকী অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুরেরও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। পরে জানা যায়, পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে শনাক্ত করে অবিলম্বে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদি কোনও সন্দেহজনক উত্তর পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন ২৬ জন পর্যটক। তাঁদের মধ্যে তিনজন রয়েছে বাঙালি। তারপরেই ভারতীয় সেনা জঙ্গি নিধন অভিযানে নামে। কাশ্মীরের উধমপুরে সেনা জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতে শহিদ হন নদিয়ার তেহট্টর বাসিন্দা সেনা জওয়ান। এই সব ঘটনার মধ্যেই কৃষ্ণনগরের এক যুবক ফেসবুকে পাকিস্তানি ভাই বলে সেলফি পোস্ট করেন। যদিও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ ছেড়ে দেয়। আর এবার শান্তিপুরের অন্য এক যুবকের বিরুদ্ধে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলার অভিযোগ উঠল।