সুন্দর, সবুজ, লাল এবং হলুদ ফুলে ভরা এই গাছগুলি কেবল পরিবেশকে পরিষ্কার এবং নিরাপদ করে না বরং দর্শকের মনকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে দেয়। এই কারণেই লোকেরা তাদের অফিস এবং বাড়ি সাজানোর জন্য অনেক ধরণের সুন্দর গাছপালা কিনে। কিন্তু আপনি কি জানেন, ঘর সাজানোর জন্য ব্যবহৃত সব গাছপালা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। হ্যাঁ, কিছু বিশেষ গাছ দেখতে সুন্দর কিন্তু আসলে এতটাই বিষাক্ত যে তাদের সংস্পর্শে আসলে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি হতে পারে।
কখনও এই ৫টি বিষাক্ত গাছ লাগাবেন না
সাদা স্নেকরুট
সাদা স্নেকরুট গাছটি দেখতে যত সুন্দর, স্বাস্থ্যের জন্য ততটাই বিষাক্ত বলে মনে করা হয়। এই গাছে ছোট ছোট সাদা ফুল ফোটে। NCBI-এর রিপোর্ট অনুসারে, এই উদ্ভিদে এক ধরণের বিষাক্ত অ্যালকোহল ট্রেমাটল পাওয়া যায়। এটি সেবন করলে মানুষের শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ে।
ধুতুরা
ধুতুরা একটি ফুলের গাছ, যার বীজ, ফুল এবং পাতা সবই অত্যন্ত বিষাক্ত। এটি সেবন করলে বমি বমি ভাব, বমি, মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে কোমা বা মৃত্যু হতে পারে। এই গাছটিকে শিশু এবং পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখুন।
অ্যাকোনাইট
অ্যাকোনাইট উদ্ভিদকে 'বিষের রাজা'ও বলা হয়। এই উদ্ভিদটি পাহাড়ি অঞ্চলে পাওয়া যায়। এই উদ্ভিদের সাথে ত্বকের সংস্পর্শে এলে জ্বালা, শ্বাসকষ্ট এবং এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। আপনার বাড়ির বাগানে এটি লাগানোর ভুল করবেন না।
ল্যান্টানা
ল্যান্টানা নামের এই রঙিন ঝোপঝাড় গাছটি সাজসজ্জার জন্য খুব পছন্দের, কিন্তু বাস্তবে এটি খুবই বিষাক্ত। এর পাতা বা বেরিতে ট্রাইটারপেনয়েড নামক রাসায়নিক থাকে। এই রাসায়নিকগুলি গিলে ফেলা হলে ক্ষতিকারক হতে পারে। এটি করলে বমি, ডায়রিয়া, এমনকি লিভারের ক্ষতি হতে পারে। এটি পোষা প্রাণী এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা উচিত।
ক্যাস্টর
এটি একটি বন্য উদ্ভিদ, যা যেকোনো জায়গায় জন্মে। এটি এতটাই বিষাক্ত যে কয়েকটি বীজ খেলেও তীব্র পেট ব্যথা, বমি এমনকি ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এতে উপস্থিত রিসিন নামক বিষ কোষের ভিতরে প্রোটিনের সংশ্লেষণ বন্ধ করে দেয়।
এই সাধারণ সতর্কতাগুলি গ্রহণ করুন
-বাড়িতে বা বাগানে বিষাক্ত গাছ লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
-গাছের সংস্পর্শে আসার আগে গ্লাভস পরুন এবং পরে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
-যদি কোনও বিষাক্ত উদ্ভিদ খাওয়া হয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
- গাছপালা সনাক্তকরণ এবং তাদের প্রভাব সম্পর্কে জ্ঞান থাকার পরেই বাড়িতে যেকোনো গাছ লাগান।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।