চাকরিহারা শিক্ষকদের কালীঘাট অভিযানকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি হাজরা মোড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এরপরই হাজরা মোড়ে অবরোধ শুরু করে দেন তারা।
তাদের দাবি স্কুলে যেতে পারবেন যে শিক্ষকরা, সেই তালিকায় নাম নেই তাঁদের। অবিলম্বে তাঁদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। একের পর এক শিক্ষিকা রাস্তার উপর শুয়ে পড়েন।
একের পর এক চাকরিহারা শিক্ষকদের কার্যত চ্যাংদোলা করে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। তারা রাস্তায় শুয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন পুলিশকে বলুন গুলি করতে।
তাঁদের অনেকেই বলতে থাকেন, চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষককর্মীদের আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া যাবে না। তাদেরকে কেন অযোগ্য বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে? পাড়ায় এলাকায় বের হতে পারছেন না তারা।
ওই শিক্ষকদের একাংশের দাবি, যে তালিকা অনুসারে শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন তাঁদের সেই তালিকায় নাম নেই। তাঁদেরকে কার্যত দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর ওএমআর মিসম্যাচ হয়েছে এই অভিযোগে তাদের নাম ওই তালিকায় নেই। তাঁদের অনেককেই কার্যত অযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।এরপরই এনিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন তারা।
তারা এতদিন এসএসসি ভবনের সামনে আন্দোলন করছিলেন। এবার তাঁরা আচমকাই চলে যান হাজরা মোড়ে। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তারা। তাঁদের দাবি, গোটা ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে হস্তক্ষেপ করতে হবে। নানা প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
তাদের দাবি, অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুলে যেতে পারবেন আর তারা স্কুলে যেতে পারবেন না এটা হতে পারে না। প্রচন্ড গরমের মধ্য়ে তারা হাজরা মোড়ে অবরোধ করেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘাতে গিয়েছেন। সেকারণে তাঁর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব নয়। এরপর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
ইউনাইটেড টিচিং নন টিচিং ফোরামের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। আর তাদের সেই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
চাকরিহারা এক শিক্ষিকা বলেন, আমরা তো তারই রাজ্যের প্রজা। আমাদের একটুু মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখুন। তার কারণ কোথাও আমাদের নেগেটিভ তকমা দেওয়া হয়নি। কিন্তু সমাজে আমাদের একেবারে একঘরে করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবন ডিসটার্ব হচ্ছে। আমাদের নির্দিষ্ট টার্ম দিয়ে দাগিয়ে দেবেন না। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত স্কুলে গিয়েছি।
দিদি আমাদের বলেছিলেন ক্লাসে যান। কিন্তু আমাদের ক্লাসে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মিথ্যে তকমা দিয়ে মজা দেখছে কিছু মানুষ।