'আইপিএল ২০২৫ মরশুমে রাজস্থান রয়্যালসের একেবারে বেহাল দশা। তারা এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবলের নয় নম্বরে রয়েছে। তারা ইতিমধ্যে ন'টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তার মধ্যে মাত্র দু'টি ম্যাচ জিতেছে। বাকি সাতটিতেই হেরে বসে রয়েছে। এই মরশুমে রাজস্থানের আরও পাঁচটি ম্যাচ বাকি আছে। প্লে-অফে যেতে হলে আগে সবকটি ম্যাচ জিততে হবে। তার পর অন্য দলের ফলের উপর নির্ভর করতে হবে। পাশাপাশি রানরেটও ঠিকঠাক রাখতে হবে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) জয়পুরের সোওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে রাজস্থানের। সেই ম্যাচটি সবার আগে জিততে হবে সঞ্জু স্যামসনদের।
জয়ের দরজায় পৌঁছেও ম্যাচ হেরেছেন সঞ্জুরা
রাজস্থান তাদের শেষ তিনটি ম্যাচে একেবারে জয়ের দরজা থেকে হেরে বসে। ১৬ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ৯ রান তাড়া করে জিততে পারেনি তারা। ম্যাচ প্রথমে টাই করে বসে। সেখান থেকে সুপার ওভারে হেরে যায় রাজস্থান। এর পর ১৯ এপ্রিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধেও শেষ ওভারে একেবারে একই গল্প ছিল। ৯ রান করতে হত ২০তম ওভারে। কিন্তু ২ রানে ম্যাচটি হেরে যায় রাজস্থান। ২৪ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বিরুদ্ধে ১১ রানে হারে তারা।
রবিবার জয়পুরে রাজস্থানের তৃতীয় হোম ম্যাচের আগে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে, বোলিং কোচ শেন বন্ড স্বীকার করেছেন যে, ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা ইতিমধ্যেই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে। তবে তিনি এখনও বিশ্বাস করেন যে, রাজস্থান বাকি ম্যাচগুলিতে লড়াই করবে।
হাল ছেড়ে দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস
শেন বন্ড বলেছেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হল, ম্যাচের ৩৫ ওভার (দুই ইনিং মিলিয়ে) পর্যন্ত আমরা খুব ভালো খেলেছি। এমন কী বেশ কিছু খেলায় আমাদের হাতেই নিয়ন্ত্রণ ছিল। এবং এমন পজিশনেও পৌঁছে গিয়েছিলাম, যেখানে আমাদের ম্যাচটি জেতা উচিত ছিল। তবে প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, সেই কঠিন মুহূর্তে তারা যথেষ্ট ভালো খেলেছে এবং আমাদের টপকে ম্যাচগুলো জিতেছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এভাবে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়াটাই আমাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে। আমরা ২টি ম্যাচ জিতেছি, ৭টি হেরেছি। যাই হোক, আমরা টেবলের উপরের দিকে থাকতে পারতাম, কিন্তু এখন আমাদের কিছুই করার নেই। পয়েন্ট টেবল অনুযায়ী, আমরা সম্ভবত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছি, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, হাল ছেড়ে দেব। একটি দল হিসেবে, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা শক্তিশালী ভাবে মরশুম শেষ করব এবং ভালো খেলা চালিয়ে যাব, তবে ব্যক্তিগত ভাবেও ভালো খেলবে প্লেয়াররা। পরবর্তী মরশুমের জন্য নিজেদের প্রমাণ করারও তাগিদ থাকবে।’
উল্লেখযোগ্য ভাবে, রাজস্থান এখনও অঙ্কের হিসেবে প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে রয়েছে। তবে, বাকি সব ম্যাচে জয় তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। এটি নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় যে, এবার টুর্নামেন্টের শেষ মাসটি আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।