গরমকাল পড়ে গিয়েছে। সূর্যের তেজ মাথার চাঁদি ফাটিয়ে দেবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই পথচলতি মানুষজন একটু গাছের ছায়া খোঁজেন। কিন্তু কোথায় সেই বড় গাছ? যার তলায় দাঁড়িয়ে সূর্যের প্রখর তেজ থেকে নিজেকে বাঁচানো যাবে। কলকাতা শহরে আর বড় গাছ লাগানোর তেমন জায়গা নেই। আর কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়ার মতো যে গাছগুলি ছিল তা প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ে কমে গিয়েছে। আবার অনেকে কেটে নিয়ে গিয়েছে বলে সংখ্যা কমছে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে এমন তথ্য মিলেছে। তাই বিকল্প পথ হিসাবে এবার শহরের বড় রাস্তার মাঝে ‘গ্রিন বাফার’ করছে কলকাতা পুরসভা।
এই উদ্যোগ নেওয়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। গাছের ছায়া মিলবে, গরম কমবে, অক্সিজেন মিলবে এবং দূষণও কমবে। তাতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে। আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বাংলাজুড়ে বৃক্ষরোপণ করা হবে। কলকাতা শহরে বড় গাছ লাগানোর তেমন কোনও জায়গা নেই। কলকাতা শহরে বড় গাছ দেখা যায় ময়দান চত্বরে। এইসব কাজ বন দফতর লাগিয়েছিল। সেইসব গাছের বয়স এখন ৩০–৩৫ বছর। বটগাছ থেকে শুরু করে শিরীষ গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এই আবহে এখন ইএম বাইপাসের দু’ধারে পুরসভা এবং বনদফতর কয়েকটি গাছ লাগিয়েছে। এখন যা অবস্থা তাতে পাঁচ হাজার গাছ লাগানো সম্ভব উদ্যান বিভাগের পক্ষে।
আরও পড়ুন: ৩২ হাজারের নিয়োগ বাতিল মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল, কবে হবে কলকাতা হাইকোর্টে?
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা মিলিয়ে বড় গাছ লাগাতে চায় পুরসভার উদ্যান বিভাগ। কিন্তু সেভাবে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে রাসবিহারি অ্যাভিনিউ, যাদবপুর, গড়িয়ায় বড় গাছ লাগাতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশিরভাগ বড় গাছ উপড়ে গিয়েছে। সেসব জায়গায় গড়ে ৫০ হাজার করে গাছ লাগানো হয়। কিন্তু রাজ্য হর্টিকালচার বিভাগের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা শহরের অধিকাংশ এলাকায় মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন উদ্যোগে কলকাতায় বট, মেহগনি, অশ্বত্থের মতো বৃক্ষরোপণ করা কঠিন।
গাছ লাগানোর কথা বলা হয়েছে, মেট্রো রেল, কলকাতা বিমানবন্দর, বন্দর–সহ নানা সরকারি কর্তৃপক্ষকে। যাতে কলকাতা সুস্থ থাকে, ভাল থাকে। রাস্তার মাঝখানে অর্থাৎ রাস্তার দু’ধার ছেড়ে মাঝে বড় গাছ লাগানো হবে। জায়গা কম। গত পাঁচ বছর ধরে গার্ডেনরিচ পানীয় জল সরবরাহ কেন্দ্রে আম, জাম, কাঁঠাল–সহ নানা গাছ লাগানো হয়। টালা পাম্পিং স্টেশনে সেসব গাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু শহরে কমছে কৃষ্ণচূড়া গাছ। শহরের দূষণ কমাতে তাই রাজপথের মাঝে ছোট গাছ লাগানো হচ্ছে। তাতে অল্প হলেও দূষণ কমছে এবং অক্সিজেন বাড়ছে।