কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের উদ্দেশে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর কার্যালয় এবং বাসভবন ক্লিফ হাউসে বোমা হামলা করার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে যায় দক্ষিণের রাজ্যে। আজ, সোমবার সকালে ইমেল করে এই বোমা মারার হুমকি দেওয়া হয়। তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বাসভবনে নয়। বরং বোমা হামলার হুমকি আসে কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ ও বোম্ব স্কোয়াড। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, কার্যালয়ে আসে স্নিফার ডগও।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বাসভবন এবং অফিসে বোমা মারার হুমকি দেওয়ায় প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আজ পিনারাইয়ের বাড়ি এবং দফতরে বোমা মারার হুমকির খবর আসে তাদের কাছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি এবং অফিসকে ঘিরে ফেলা হয় কড়া নিরাপত্তা বলয়ে। খবর পেয়ে বোম্ব স্কোয়াড আসে। এখন প্রত্যেকটি এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তবে কোনও বোমা বা বিস্ফোরক উদ্ধার হয়নি।
আরও পড়ুন: গ্রামের পুকুরে ভেসে উঠল তিন শিশুর দেহ, বীরভূমে শোকের ছায়া, কান্নার রোল পরিবারে
তবে তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একটি ইমেইল আসে। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেরলের নানা জায়গায় এই ধরনের হুমকি আসছে ইমেল মারফত। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যে ইমেলটি এসেছিল, তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল আজ দুপুর ২টার মধ্যে এয়ারপোর্ট খালি করুন। আরডিএক্স বিস্ফোরক সেখানে রাখা রয়েছে। যদিও পরে সবটাই ভুয়ো বলে প্রাথমিক অনুমান করে পুলিশ। কোথা থেকে এসেছে হুমকি ইমেল? পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তবে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। নজরদারি করে চলেছে সিআইএসএফ।
এই ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত। তবে তিরুবনন্তপুরমের জেলাশাসক অনু কুমারি বলেছেন, ‘প্রথমে বোমার আতঙ্ক ছিল। আমরা একটি ইমেল পেয়েছি। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, একটি প্রশাসনিক ভবনের পাইপে কিছু আরডিএক্স পুঁতে রাখা হয়েছে। আমরা পুলিশকে পরিদর্শন করতে বলেছিলাম। তারা পরিদর্শন করে কিছুই পায়নি। আমরা যখন লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছিলাম, তখন মৌমাছির আক্রমণের শিকার হয় কয়েকজন। আমাদে কর্মীদেরকে কামড় দেওয়া হয়েছিল। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’