আইপিএল জ্বরে কাঁপছে গোটা দেশ। সাধারণত আইপিএলের মরশুমে মহানগরে সক্রিয় হয়ে ওঠে বেটিং চক্র। এবার আইপিএলে বেটিং চক্র রুখতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে লালবাজার। তা সত্ত্বেও কি বেটিং চক্রে লাগাম পড়েছে? সেই প্রশ্নই থেকে যাচ্ছে। পুলিশের নজরদারি থাকা সত্ত্বেও ক্রমেই শহরজুড়ে আইপিএলের বেটিং চক্র সক্রিয় হচ্ছে বলেই খবর।
গত বছর ইডেনে ম্যাচ চলাকালীন বেটিং চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই সময় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একাধিক মোবাইল, ল্যাপটপ-সহ বেশকিছু জিনিসপত্র। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ম্যাচের ফলাফল ছাড়াও ছোট ছোট অংশ ধরে চলছিল বেটিং চক্র। গত কয়েক বছরে শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ এবং অতিথিশালায় বেটিং চক্র চালাত চক্রীরা। কিন্তু পুলিশের কড়া নজরদারিতে নিজেদের ঠিকানাও বদলেছে এই সমস্ত চক্রীরা।
সূত্রের খবর, আইপিএল শুরু হতেই বিশেষ করে কেকেআর ম্যাচকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেটিং বেশি হচ্ছে। ভবানীপুর, লেক গার্ডেন্স, কসবা, ময়দান, বড়বাজার, পোস্তা প্রভৃতি এলাকায় চলছে বেটিং চক্র। সূত্রের খবর, এখন মোবাইলের সাহায্যে বেশি বেটিং হচ্ছে। এছাড়াও জুয়ারিরা অনলাইনে আইডি তৈরি করে সেগুলি ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেখানে দেওয়া হচ্ছে কবে কাদের ম্যাচ রয়েছে বা কাদের পক্ষে বাজি ধরলে কত টাকা মিলবে? সে বিষয়টিও জানানো হচ্ছে। ম্যাচের ফলাফলের পাশাপাশি টসে কে জিতবে, শেষ ওভারে কোন দল কত রান করবে বা নির্দিষ্ট খেলোয়াড় কত রান করবেন? সেই বিষয় নিয়েও চলছে বেটিং।
ইতিমধ্যেই বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে এ বছর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একটি অতিথিশালা থেকে প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লালবাজারের তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, অতিথিশালায় পুলিশি নজরদারি চলছে বলে লালবাজার সুত্রে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে কেকেআর ম্যাচের দিন বাড়তি নজরদারি দেওয়া হচ্ছে। লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার বিশেষ দল আইপিএলে বেটিং চক্র রুখতে সক্রিয় রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ম্যাচকে ঘিরে কলকাতায় বেটিং চক্র সক্রিয় রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup