বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আমানতকারীদের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা কীভাবে অন্যত্র গিয়েছে? বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি পরিচালনায় বাইরের সংস্থা ও ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া হল? এসব নিয়ে সিবিআইকে খতিয়ে দেখতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্ট
রোজভ্যালিকাণ্ডে প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিলীপ শেঠের নেতৃত্বে একটি কমিটি। তার নাম অ্যাসেটস ডিসপোজাল কমিটি (এডিসি)। কিন্তু, এই কমিটির কাজ নিয়ে উঠল গুরুতর অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে নামছে সিবিআই। আদালতের গড়া একটি কমিটির বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপকে নজিরবিহীন বলছেন আইনজীবীদের একাংশ।
শুক্রবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আমানতকারীদের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা কীভাবে অন্যত্র গিয়েছে? বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি পরিচালনায় বাইরের সংস্থা ও ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া হল? এসব নিয়ে সিবিআইকে খতিয়ে দেখতে হবে। ২১ অগস্টের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আদালতে পেশ হওয়া নথি থেকে জানা যায়, ৩০ জুন আমানতকারীদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়া ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা সেদিনই এডিসির অ্যাকাউন্টে যায় এবং পরে প্রায় ২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত হয় চেয়ারপার্সন শেঠের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। প্রশ্ন উঠেছে, রোজভ্যালি সংস্থা ও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ২২ লক্ষ টাকা পাওয়া সত্ত্বেও এত বড় অঙ্কের অর্থ কেন স্থানান্তরিত হল।