ডান্স বাংলা ডান্সে মেয়ে অহনা দত্তর সঙ্গে জুটি বেঁধে চাঁদনি গঙ্গোপাধ্যায় সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ের প্রেমের খবর পাওয়ার পর থেকেই সমস্যা তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল বহুদিন আগেই, বর্তমানে মেয়ের সঙ্গেও মুখ দেখাদেখি নেই চাঁদনির। নাচই তাঁর জীবনে বেঁচে থাকার রসদ জোগায়। আর সেই নাচকেই কিনা ছেড়ে দিতে বলছেন একদল নেটিজেন। এবার তাঁদের কড়া জবাব দিলেন চাঁদনি।
সোমবার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে চাঁদনি জানান তাঁকে সমাজমাধ্যমে নাকি বিগত কিছুদিন ধরে কিছু মানুষ নাচ ছেড়ে দিতে বলছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে চাঁদনি তাঁর ভিডিয়োয় বলেন, ‘সবার জীবন এক রকম হয় না। এই বাস্তবটা মেনে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমার জীবনটা খুবই অনিশ্চিত। আমার জীবনকে আমি কখনও আমার ইচ্ছে মতো দেখতে পাইনি।’
আরও পড়ুন: ‘সাইয়ারা’ নয়, ‘মহাবতার নরসিংহ’ দেখে কাঁদলেন শ্বেতা! ‘চিৎকার করেছি…’, ছবি প্রসঙ্গে যা বললেন নায়িকা
কিন্তু জীবন চাঁদনির মনের মতো না হলেও তিনি জীবনকে সব সময় ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করেছেন। আর এই পুরো সময়টা তাঁকে ঘিরে ছিল নাচ। তাই সেই নাচ বন্ধ করার কথা উঠতেই চাঁদনি বলেন, ‘কেন আমি আমার নাচটা বন্ধ করব? নাচ হল মনের আনন্দ অনুভূতি প্রকাশের একটা পথ। আর আমার ক্ষেত্রে এটা শুধু আমার আনন্দ প্রকাশের পথ নয়, আমার কর্ম। আমাকে আমার কর্ম করেই বেঁচে থাকতে হবে। আমার জীবনে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি এসেছে, কিন্তু সেগুলোকে কাটিয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমার এই নাচের জার্নিটাও চলতে থেকেছে। আমি যদি কখনও নাচকে ছেড়েও দিয়েছি, নাচ কিন্তু আমার জীবন থেকে কখনও সরে যায়নি। জীবনে যখন যখন বিপদে পড়েছি, বিদ্ধস্ত হয়েছি, সেই জায়গা থেকে নাচটাই আমাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। জীবনের যে কোনও পরিস্থিতিতে নাচকে ছেড়ে বেঁচে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ভগবানের আশীর্বাদে যতদিন আমি সুস্থ সবল থাকব তত দিন নাচ আমার সঙ্গে থাকবে।’
আরও পড়ুন: 'দিদি নম্বর ১ বন্ধ হলে আন্দোলনও শুরু হতে পারে...', লোকসভায় কম হাজিরা নিয়ে সাফাই রচনার
তিনি আরও বলেন, ‘শিল্পী কখনও তৈরি করা যায় না। শিল্পী জন্ম নেয়। তাই কখনও কারুর ব্যক্তিগত জীবন, কারুর কর্মজীবনের সঙ্গে কারুর শিল্পী সত্তাকে মিশিয়ে দেবেন না। আজ যে কারণে আপনারা আমাকে চিনেছেন। যার কারণের জন্য আজ আমাকে থামতে বলছেন, তার পিছনেও কিন্তু একটাই কারণ, এই নাচ। এই নাচের জন্যই কিন্তু আপনারা আমাকে চিনেছেন। যাঁদের আমার নাচ ভালো লাগে আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। আর যাঁদের আমার নাচ ভালো লাগে না, তাঁরা আমাকে দেখবেন না। আমার এই ছোট্ট জীবনটা আমি আমার মতো শান্তিতে কাটাতে চাই। আমি চাই সবাই ভালো থাকুক, আমিও ভালো ভাবে থাকতে চাই। আমার জীবনে সুখের প্রয়োজন নেই, শান্তির প্রয়োজন আছে।’
প্রসঙ্গত, চাঁদনির মেয়ে অহনা দত্ত সদ্য মা হয়েছেন। তবে মেয়ের প্রেমের খবর জানার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে চাঁদনির দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সেই দূরত্ব এখনও কমেনি।