অপারেশন সিঁদুর এবং ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের সময় দেশের বহু বিমানবন্দরে জারি করা হয়েছিল নোটাম। বহু বিমানবন্দরে মহড়া চলেছিল। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। সংঘাত থেমেছে কয়েক মাস আগেই। এরপর থেকে সতর্কতা থাকলেও শান্তি বজায় রয়েছে। এহেন পরিস্থইতিতে কলকাতা বিমানবন্দরে এবার আধা সেনা, পুলিশের মহড়া দেখা গেল। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৯ জুলাই রাতে এই মহড়াটি হয়। বিমানবন্দরে কোনও রকম নাশকতা হলে বা বিমান ছিনতাই হলে কীভাবে তা প্রতিহত করা হে পারে, তার প্রস্তুতি নিতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আবদুল ৮ বছর ধরে 'নেহা' পরিচয়ে থাকছে ভারতে, হতবাক পুলিশ)
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সাধারণ বাংলাদেশিদের ওপর অত্যাচার বাহিনীর, সেনা প্রধান ওয়াকার বললেন...
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সীমান্তে 'গেরিলা অ্যাম্বুশ' বিএসেফের, ১১ গরু উদ্ধার, আটক পাচারকারী
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই মহড়ার নেতৃত্ব দিয়েছিল ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার পাশাপাশি মহড়ায় অংশ নিয়েছিল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কর্মীরাও। কলকাতা বিমানবন্দরে যে সব সংস্থা রয়েছে, তারাও এই মহড়ায় অংশ নেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরাও ছিলেন এখানে। এরই সঙ্গে ছিল সিআইএসএফ, রাজ্য পুলিশ, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর সদস্যরা। (আরও পড়ুন: IIM ধর্ষণ কাণ্ডে নয়া মোড়, ধোঁয়াশা বাড়ছে অভিযোগ ঘিরে, জামিন অভিযুক্তের)
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের গেস্টহাউজ থেকে উদ্ধার ১০ কোটির জাল নোট, ধৃত ২
আরও পড়ুন: নিউটাউনের পর আনন্দপুর, পটনার হাসপাতালে গ্যাংস্টার খুনে আরও ৫ গ্রেফতার বাংলায়
মহড়ার অংশ হিসেবে ব্যবহার করে হয় একটি এয়ারবাস এ৩২০ বিমান। সেই বিমানে ৭৫ জন 'ডামি' যাত্রী বসানো হয় হাইজ্যাক পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য। এই অনুশীলন মহড়া শুরু হয়েছিল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। মহড়ায় এনএসজি টাস্ক ফোর্স 'বন্দি যাত্রীদের' উদ্ধার করে এবং ছিনতাইকারীদের মারে। এদিকে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতেও অনুশীলন মহড়া চালানো হয়। সেখানে এয়ারপোর্ট অথরিটির ১২ জন কর্মীকে 'বন্দি' বানিয়ে ডামি হিসেবে বসানো হয়েছিল। সেই অভিযানে এনএসজি এবং এসটিএফ বন্দি ১২ জনকেই সফল ভাবে উদ্ধার করে।