অস্বাভাবিক মৃত্যু দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের পুত্র প্রীতম দাসগুপ্তের। তাঁর আগের পক্ষের ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু
মনটা খারাপ ছিল। মায়ের মন। বুঝতে পারছিলাম। ছেলের মৃত্যুর পরে বললেন দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার।
সংবাদমাধ্য়মে মুখ খুলেছেন দিলীপের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার।
তিনি বলেন, 'এক দেড় বছর আগে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। ওকে নিউরোর ওষুধ খাওয়াতাম আমি। ওষুধগুলো ঠিকঠাক খাচছিল না মনে হয়। একটু মনে হয় মুখে বলত না। মনে মনে একটা স্বপ্ন ছিল আমার সঙ্গে থাকবে। আমি বললাম তোকে নিয়ে আসব। তুই আসবি তারপর ঘর করব। খুব আনন্দে ছিল। আমার সঙ্গে থাকবে। আমার দু তিনদিন ঘুম হয়নি। কেন জানি না মনে হচ্ছিল ছেলেটা খাওয়া দাওয়া করেনি। আমি টেনশনে ছিলাম। আমি এখানে রান্নাবান্না করছি। ছেলেটা ওখানে..রান্নার লোক ঘুরে চলে যাচ্ছে। কখনও বন্ধুর ফ্ল্যাটে থাকছে।
বিয়ের পরে জীবনযাত্রায় কি কিছু বদল এসেছিল?
রিঙকু বলেন, মন খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। আমাকে বুঝতে দেয়নি। কিন্তু খাওয়া দাওয়া করছিল না। আমি বুঝতে পারছিলাম খাওয়া দাওয়া ঠিকঠাক হচ্ছিল না। আমি আজকেই (দিলীপ ঘোষকে) বলতাম দেখো আমি ছেলেকে এখানে নিয়ে আসব নয়তো আমাকে ছেলের সঙ্গে থাকতে হবে। কথাবার্তা হচ্ছিল। …আমাদের রুমের প্রবলেম ছিল। ছেলে আপসেট ছিল। বুঝতে দিচ্ছিল না। ঠিকঠাক ছিল না। মারাত্মক। বুঝতে পারতাম। মাদার্স ডে সেলিব্রেট করতে আসল আমার বাড়িতে। কেক নিয়ে আসল। আমি গিয়েছিলাম ওর সঙ্গে থাকতে…
ফ্ল্যাটে গিয়ে কাকে দেখলেন?
রিঙ্কু বলেন, ও ছিল, ওর অফিস কলিগরা ছিল। ওরা বলত আন্টি ওর মন ভালো নেই। আবার বলত আমি হ্যাপি আছি। একজন বন্ধু দশটায় এসেছিল একজন রাত তিনটের সময় এসেছে। দুজনে অফিস কলিগ। বান্ধবী থাকার কথা মেনে নিয়েছেন তিনি। পাশের ফ্ল্য়াটের একটা ছেলে তেল মালিশ করছিল। সেন্স ফেরানোর চেষ্টা করছিল। কী স্পিডে যে গাড়ি চালিয়ে গেছি আমি। আমি গাড়ি চালিয়ে গেছি। ফোনে বলছিল, আন্টি ও মনে হয় আর নেই…আমি বললাম কী হয়েছে। অ্যাম্বুল্য়ান্স ডাকো। আমি কোনও দিকে না তাকিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ধরাধরি করে সিঁড়ি দিয়ে নামালাম। বলেন রিঙ্কু মজুমদার।
তোরা তো ফ্ল্য়াটে গিয়ে মা বাবাকে দেখতে পাস, আমি তো পাই না। তোরা ব্যাপারটা বুঝবি না। কলিগদের বলেছিলেন রিঙ্কুর পুত্র। এমনটাই দাবি করেছেন মা।
তবে কি মাকে সঙ্গে না পেয়ে চরম একাকিত্বে ভুগছিলেন প্রীতম? তেমনই কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন রিঙ্কু। এমনকী ছেলের কাছে থাকার কথা বা ছেলেকে কাছে আনার ব্যাপারেও চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তার আগেই সব শেষ।