ভোটে লড়াই করতে দরকারে আঁচল পেতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলব। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক বৈঠকে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ চুরির বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার দরকার নেই এক পয়সাও।
এদিন মমতা বলেন, ‘চুরি হলে তখন বলবে কয়লা চুরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস আর চুরি করবে CISF টাকা খেয়ে বা পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে আমি এটাকে টলারেট করব না। যদি কোনও রাজনৈতিক দলের লোকও খায় তার কলার চেপে ধরো। তাকে আইনের প্যাঁচে ধরো। আইনত জেলে পাঠাও। এখানে কোনও অজুহাত আমি শুনতে চাই না।’
আরও পড়ুন - ‘হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে নীরব মমতা!’ পুলিশের রদবদল নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত
মমতার দাবি, ‘আমার দরকার নেই এক পয়সাও। বার বার আমি বলি। প্রয়োজনে আমি দলের নির্বাচন করানোর জন্য লোকের কাছে আঁচল পেতে টাকা নেব। আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না কোনও সরকারের কাছ থেকে বা কারও কাছ থেকে আমি এক পয়সা নিয়েছি। কোনও কারণে। অন্য কেউ যদি নিয়ে থাকে তুমি ছাড়বে কেন? প্রত্যেকের জন্য আইন সমান ভাবে কার্যকর হওয়া উচিত। সেখানে কোনও বৈষম্য হওয়া উচিত নয়। কেউ কেউ ভাবে, একে ম্যানেজ করি, ওকে ম্যানেজ করি। করে তোলাবাজি করি। তারা বাঁচাবে। কেউ বাঁচাবে না। আমি তো বাঁচাব না। আমার কাছে কোথাও না কোথাও থেকে তো খবর আসবেই।’
আরও পড়ুন - হাসপাতাল থেকে জেলে ফিরেছেন জ্যোতিপ্রিয়, ভার্চুয়ালি হাজির আদালতের শুনানিতে
পড়তে থাকুন - বেলডাঙা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংযত থাকতে বলল HC, BJP-র দাবি - ৪ জেলায় বন্ধ নেট
বলে রাখি, ২০১১ সালের ভোটে ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে দরকারে ছবি বিক্রি করে দল চালাবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন মমতা। এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কয়েকটি ছবি চড়া দামে বিক্রিও হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে আর ছবি বিক্রির কথা মুখে তোলেননি। উলটে প্রথম থেকেই লাল সালু পেতে ও কৌটো নাচিয়ে সিপিএম পয়সা তোলে বলে লাগাতার কটাক্ষ করেছেন তিনি ও তাঁর দলের নেতারা। এবার সেই মমতার মুখে শোনা গেল আঁচল পেতে টাকা চাওয়ার কথা।